(বাঁ দিকে) সুস্মিতা দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অসমের জোড়া লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী দিতে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিশ্ব নারী দিবসের প্রাক্কালে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন মমতা। সেই মিছিলে ছিলেন সুস্মিতাও। মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ের সভা করেন তৃণমূলের সর্ব্বোচ্চ নেত্রী। মঞ্চ থেকেই তাঁকে অসমের জোড়া আসনে প্রার্থী দিতে নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশের জবাবে মঞ্চেই সুস্মিতা দলনেত্রীকে জানান, অসম তৃণমূল প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ন’টি বর্তমানে বিজেপির দখলে। তিনটি আসন কংগ্রেসের দখলে। আর একটি করে আসন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এবং নির্দল সাংসদ নবকুমার সারানিয়ার দখলে। ২০১৪ সালে শিলচর লোকসভা আসন থেকে কংগ্রেসের হয়ে জিতে প্রথম বার সংসদে গিয়েছিলেন সুস্মিতা। ২০১৯ সালে ওই আসন থেকে লড়াই করে পরাজিত হন তিনি। ২০২২ সালে যোগদান করেন তৃণমূলে। বাংলার শাসকদলে যোগদানের পর প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা মমতাকে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তাঁকে যেন শিলচর থেকে প্রার্থী করে দল। তাতে সম্মতিও দিয়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই আসনটিকে তফসিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করে দেওয়ায় আর শিলচর থেকে দাঁড়াতে পারবেন না সুস্মিতা। নিজের প্রার্থী না হতে পারলেও, ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিক, চান তিনি। সঙ্গে অসমের করিমগঞ্জ, ধুবড়ি, লখিমপুর এবং নগাঁও লোকসভা আসনও তৃণমূলের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন অসম তৃণমূল নেতৃত্ব। লখিমপুর এবং নগাঁও লোকসভা আসনে আবার প্রার্থী হিসেবে ভাবা হচ্ছে রাজ্য সভাপতি রিপুন বরার নাম। সুস্মিতা বলেন, ‘‘আমাকে দল প্রস্তুতির দায়িত্ব দিয়েছিল। যা ঘোষণা করার দলের তরফ থেকে শীঘ্রই করা হবে।’’
মমতা নির্দেশ দেওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অসম ও মেঘালয়ে নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। অসম প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি রিপুনকে মাথায় রেখে ১০ জনের কমিটি গড়েছে তৃণমূল। মেঘালয়ে ন’জনের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মেঘালয়ের রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক চার্লস পিনগ্রোপকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। মেঘালয়ের দু’টি লোকসভা আসনের মধ্যে তুরা আসনে প্রার্থী দিতে চায় তৃণমূল।