Priyanka Gandhi Vadra

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রচার মিটারে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা

জমে উঠছে দিল্লিবাড়ির লড়াই। সেই যুদ্ধের মূল যোদ্ধাদের প্রচার মাপতে আনন্দবাজার অনলাইনে বিশেষ বিভাগ ‘প্রচার মিটারে’। এ বার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।

Advertisement
ঐন্দ্রিলা বসু সিংহ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ২০:৪৬
রায়বরেলিতে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচারে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।

রায়বরেলিতে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচারে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ছবি: পিটিআই।

তাঁকে দেখে এক কালে ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতি তাজা হত কংগ্রেস অনুগতদের। ঠাকুমার মতো সরু পাড় একরঙা খাদির শাড়ি পরে বেরোলে অকংগ্রেসীরাও সমীহ নিয়ে তাকাতেন। কিন্তু সে সব ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ পর্বের আগের কথা। গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেস তাদের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (তুলনা টেনেছিলেন রাহুল গান্ধী) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি দেওয়ায়। দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ সামলানোর। তার পরে আর ইন্দিরা-পৌত্রীকে শাড়িতে সে ভাবে দেখা যায়নি। ‘ইন্দিরার মতো’ প্রিয়ঙ্কা শীঘ্রই ‘আমি আমার মতো’ হয়ে কেজো বেশ ধরেন। রাজস্থানী ব্লক প্রিন্টের সুতির কুর্তা-পাজামা এবং ওড়না। দাদা রাহুলের হয়ে প্রচারে রায়বরেলিতেও সেই একই পোশাকে দেখা গেল প্রিয়ঙ্কাকে। তবে গরমে প্রিয়ঙ্কা বেছে নিয়েছিলেন সমুদ্র সবুজ রঙের কুর্তা-পাজামা। সঙ্গে সাদা ছাপা ওড়নাটি নিয়েছিলেন স্কুলের কিশোরীদের মতো আড়াআড়ি পাট করে। ঘাড় ছাপানো, কাঁধ-না-ছোঁয়া চুল খানিক ছেড়ে খানিক বেঁধে রেখেছিলেন। কানে ছোট্ট ঝোলা দুল।

Advertisement

যুক্তিনির্ভর কথা বলেন। কিন্তু বলেন একটু নরমসরম ভাবে। এক হাত কোমরে রেখে মুখের সামনে অন্য হাত নাড়িয়ে-চাড়িয়ে কথা বলা প্রিয়ঙ্কাকে দেখে হঠাৎ পাশের বাড়ির গল্পপ্রিয় কিশোরী মনে হতে পারে। সোজা কথায় নেতাসুলভ রুক্ষতা নেই। ফলে অভাব নেতাচিত জ্বালাময়ী ভাষণেরও। চ্যানেলের ভাষায় যাকে বলে ‘বিস্ফোরক’, প্রিয়ঙ্কা তা নন একেবারেই। রাহুলের প্রচারের মঞ্চ থেকে মোদীকে আক্রমণ করলেন বড়জোর বার দুয়েক। বেশি বললেন মানুষের সমস্যার কথা। গত পাঁচ বছরে তাঁর উত্তরপ্রদেশে দৌড়ে বেড়ানো যে ফাঁকি যায়নি, তা ধরা পড়ল বক্তৃতায়। মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষের এমন সমস্যাও তুলে ধরলেন, যার তথাকথিত ‘গ্ল্যামারাস’ সমাধান সম্ভব নয়। কৃষিক্ষেতে বেওয়ারিশ পশুর উৎপাত থেকে শুরু করে তার সমাধান হিসাবে সরকারের গোবর সংগ্রহের প্রতিশ্রুতিও উঠে এল প্রিয়ঙ্কার ভাষণে।

সভায় চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল সমাজের নিম্নবর্গীয় মানুষের। কংগ্রেসের চিহ্ন দেওয়া নেহরু টুপি পরে তাঁরা ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীর নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন। প্রিয়ঙ্কা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে রায়বরেলির পুরনো সম্পর্কের ইতিহাস বলার পর স্লোগানের মাত্রা আরও বাড়ল। রায়বরেলির বিদায়ী সাংসদ সনিয়া গান্ধী অসুস্থতার জন্য এ বার পুত্র রাহুলকে ছেড়ে দিয়েছেন নিজের আসন। ভিড় থেকে রাহুলের নামের স্লোগানও শোনা গেল। তবে হাতেগোনা কয়েক বার।

গ্রাফিক— সনৎ সিংহ

গ্রাফিক— সনৎ সিংহ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement