CPI(ML) Liberation

‘ভোজপুরি ভাষাকে অষ্টম তফসিলে চাই’, বিরোধী জোটের অস্বস্তি বাড়ালেন লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর?

সিপিআইএমএল(লিবারেশন) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বুধবার অভিযোগ করেন, কেন্দ্র এবং বিহারের এনডিএ সরকার ভোজপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে নীরব।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৪ ১৫:৩২

বিহারে লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যেই ভোজপুরি ভাষাকে স্বীকৃতির দাবি তুলল ‘মহাগঠবন্ধন’-এর শরিক সিপিআইএমএল(লিবারেশন)। দলের প্রশ্ন, কেন নরেন্দ্র মোদী সরকার গত এক দশকে ভোজপুরিকে সরকারি ভাষায় স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করেনি?

Advertisement

দলের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বুধবার বলেন, ‘‘বিহারের এনডিএ সরকারও ভোজপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে নীরব।’’ এ বার বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস, ভিআইপি এবং অন্য দুই বাম দল, সিপিএম, সিপিআইয়ের সঙ্গেই এ বার জোট করে তিনটি লোকসভা আসনে ভোটে লড়ছে লিবারেশন। ঘটনাচক্রে, সেই তিনটি আসন— নালন্দা, আরা এবং কারাকাটে ভোজপুরিভাষী ভোটারের সংখ্যা লক্ষ্যণীয়।

এই পরিস্থিতিতে ‘সুনির্দিষ্ট ভোটব্যাঙ্ক’ লক্ষ্য করেই লিবারেশনের এই দাবি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, বিহারের ভোজপুর, রোহতাস, কৈমুর, বক্সার, সারণ, পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, জেহানাবাদের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের লাতেহার, গঢ়ওয়া, পলামু-সহ বিভিন্ন এলাকাতেও ভোজপুরি ভোটারের সংখ্যা যথেষ্ট।

কিন্তু ঝাড়খণ্ডে জনজাতি এবং তফসিলি সমাজের একাংশের মধ্যে ভোজপুরি ভাষা বিরোধী ভাবাবেগও রয়েছে। বছর দুয়েক আগে জনজাতি সংগঠনগুলির আন্দোলনের জেরে ‘ঝাড়খণ্ড স্টাফ সিলেকশন কমিশন (জেএসএসসি)’-এর পরীক্ষায় অনুমোদিত ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরি ও মগহি ভাষাকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিল সে রাজ্যের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের সরকার।

আরও পড়ুন
Advertisement