(বাঁ দিকে) বিনোদ তাওড়ে এবং গৌরব বল্লভ। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে ‘দিশাহীন এবং সনাতন ধর্ম বিরোধী’ বলে বৃহস্পতিবার সকালে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি পাঠিয়ে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বেলা গড়াতেই দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে হাজির হলেন এআইসিসির সদ্য-প্রাক্তন মুখপাত্র গৌরব বল্লভ। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শামিল হলেন ‘পদ্ম’ শিবিরে।
গৌরবের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনিল শর্মাও। গত মাসে পূর্ণিয়ার ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদব কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই প্রতিবাদে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) গৌরব লিখেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস দল আজ যে দিশাহীনতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না।’’
এর পরেই রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলের বিরুদ্ধে হিন্দুবিরোধী আচরণের অভিযোগ তোলেন গৌরব। লেখেন, ‘‘আমি সনাতন ধর্মের বিরোধী স্লোগান তুলতে পারি না। দেশের সম্পদ সৃষ্টিকারীদের গালি দিতে পারি না। আমি কংগ্রেস পার্টির সমস্ত পদ এবং প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’ এ ক্ষেত্রে ‘দেশের সম্পদ সৃষ্টিকারী’ বলতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে বোঝাতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও গত বছর হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়েও বার বার এআইসিসির সাংবাদিক বৈঠকে সরব হয়েছিলেন গৌরব। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘চিঠিতে আমি আমার হৃদয়ের সমস্ত ব্যথা লিখেছি। যে ভাবে অযোধ্যায় ভগবান রামের মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, আমার পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছি এবং আশা করি ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আমার ক্ষমতা ও জ্ঞানের সদ্ব্যবহার করতে পারব।’’