Ghatal Lok Sabha Constituency

নাকা তল্লাশিতে পদ্মনেতার গাড়ি থেকে ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার ঘাটাল কেন্দ্রে! কী বললেন বিজেপির হিরণ?

পুলিশ সূত্রে খবর, দাসপুরের খুকুরদায় নাকা চেকিং চলছিল। সেই সময়েই স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার গাড়িটি আটকানো হয়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ২৪ লক্ষ টাকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৪ ১১:৫৩
বিজেপি নেতার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

বিজেপি নেতার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

ভোটের এক দিন আগে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দাসপুরে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হল ২৪ লাখ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও নগদ গণনা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে গাড়িচালককে। এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করতে শুরু করেছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও সে রকমই এক চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অনেককেই মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এ সব পুলিশকে দিয়ে করাচ্ছে তৃণমূল!’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, দাসপুরের খুকুরদায় নাকা চেকিং চলছিল। সেই সময়েই স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার গাড়িটি আটকানো হয়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ২৪ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ওই টাকার বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি কেউ। উদ্ধার হওয়া টাকা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। টাকার উৎসের খোঁজ চলছে।

এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল। শাসকদলের কটাক্ষ, ভোটের আগে এলাকায় টাকা, অস্ত্র ছড়িয়ে সন্দেশখালির মতো গোটা রাজ্যে অশান্তি করতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ চেকিংয়ে ধরা পড়ে গিয়েছে।’’

যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘এটা দলের টাকা। পার্টি অফিসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা তোলার পর পার্টি অফিসে রেখেছিল। সাতটা বিধানসভা এলাকার পার্টি অফিসে দেওয়ার জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সমস্ত নথি আছে। তা পুলিশকে দেখানো হচ্ছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন