Lottery in Office

লটারিতে সাত কোটি টাকা জিতেও লাভ হল না! ‘কেড়ে নিয়ে’ সবার মধ্যে ভাগ করে দিল সংস্থা

চিনে ‘স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল’ বা ‘বসন্ত উৎসব’ পালন হয় ধুমধাম করে। বাড়ির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কর্মীদের জন্য। সে রকমই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ওই চিনা যুবকের সংস্থা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২২

—প্রতীকী ছবি।

হাতে এসেও যেন এল না। খোয়াতে হল লটারিতে জেতা সাত কোটিরও বেশি টাকা। তেমনটাই হয়েছিল চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংবো এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। তাঁর জেতা লটারির টাকা ‘কেড়ে নিয়ে’ তাঁরই সহকর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিল তিনি যেখানে চাকরি করতেন, সেই সংস্থা। তবে অদ্ভুত সেই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজমাধ্যম চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হয়েছে সেই ঘটনা। ঠিক কী হয়েছিল?

Advertisement

চিনে ‘স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল’ বা ‘বসন্ত উৎসব’ পালন হয় ধুমধাম করে। বাড়ির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কর্মীদের জন্য। সে রকমই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ওই চিনা যুবকের সংস্থা। সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটি স্থানীয় এক দোকান থেকে ৫০০টিরও বেশি লটারি কিনে সব কর্মীদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়। সংস্থা জানিয়েছিল, এর মধ্যে কোনও এক কর্মীর ৬০ লক্ষ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় সাত কোটি টাকারও বেশি) জেতার সুযোগ রয়েছে।

নির্ধারিত দিনে দেখা যায়, লটারি জিতেছেন ওই যুবক। তবে সঙ্গে সঙ্গে সংস্থার তরফে ওই যুবককে টিকিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, লটারিতে জেতা টাকা অংশগ্রহণকারী সমস্ত কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে বেঁকে বসেন যুবক। এর পরেই তাঁর থেকে ওই লটারির টিকিটটি কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

ইনঝোও জেলা কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছিল যে, তাঁরা সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল। যদিও সেই বিষয়টি মিটমাট হয়েছিল কি না তা আর পর জানা যায়নি।

তবে ওই সংস্থার সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল যে, কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই জানতেন যে কোন টিকিটে ওই পরিমাণ টাকা জেতা যাবে। সংস্থার আর্থিক লেনদেন দেখে যে বিভাগ, তাদের নাকি আগে থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, কোনও ভাবেই যেন ওই টিকিট কোনও কর্মীর হাতে না পৌঁছয়। টিকিটটি আলাদা করে সরিয়ে রাখার নির্দেশও নাকি দেওয়া হয়। তবে তালেগোলে ওই যুবকের হাতে পৌঁছয় লটারিটি।

Advertisement
আরও পড়ুন