প্রতীকী চিত্র।
সোমবার থেকে শুরু হল এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া নির্ভুল ভাবে সম্পন্ন করতে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পর্ষদ। তাতে রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে একাধিক কড়া নির্দেশ রয়েছে। ভুয়ো শিক্ষার্থী রুখতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই পদক্ষেপ।
পর্ষদ সূত্র অনুযায়ী, গত বছর পর্যন্ত অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের সময় দেখা গিয়েছে বহু স্কুল অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। পরবর্তী কালে দেখা গিয়েছে, সেই পড়ুয়ার দু’টি ভিন্ন বোর্ডে নাম রয়েছে। এ বছর থেকে যেহেতু পুরো প্রক্রিয়া অনলাইন মাধ্যমে হচ্ছে, তাই তথ্যগত ভুল এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটি এড়াতে কড়া নির্দেশ দিল পর্ষদ। বলা হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে পঠনরত শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন গ্রহণযোগ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে, কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “ভুয়ো শিক্ষার্থী রুখতে এই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে কোন প্রক্রিয়ায় অন্য বোর্ডের পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারবে, নির্দেশে তা একটু পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করলে ভাল হত।”
নিয়ম অনুযায়ী, এক বোর্ডের পড়ুয়া অন্য বোর্ডে ভর্তি হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড এবং স্কুল থেকে ‘মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট’ আনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনও ছাড়পত্র ছাড়াই মধ্যশিক্ষা পর্ষদে নাম নথিভুক্তকরণের জেরে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পর্ষদের গাইড নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে,
নিয়ম বর্হিভূত ভাবে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ঘটনা ঘটলে স্কুল এবং পড়ুয়া উভয়ের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতীম বৈদ্য বলেন, “রেজিস্ট্রেশনের সমস্ত বিষয়টি অনলাইনে হয়ে যাওয়ায় এখন সব কিছুই তথ্য-সহ আপলোড করতে হচ্ছে। তাই কোনও স্কুল যদি ভুয়ো তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে। পর্ষদের এই কড়া বিবৃতি সে বিষয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।”
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক পড়ুয়াকে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে ১১০ টাকা। এ ছাড়া ফর্ম পূরণ করার সময়ে নামের আগে সম্মানজনক কোনও শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “অন্য বোর্ডের কোনও ছাত্রছাত্রী যদি ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের অধীনে আসতে চায়, তা হলে অসুবিধা কোথায়! এদের আটকানো মানে বেসরকারিকরণকে উৎসাহিত করা। আর সরকার সম্ভবত ঘুরপথে সেই কাজটা করতে চাইছে। নামের আগে কে কী ব্যবহার করবে সেটাই বা সরকার ঠিক করে দেবে কেন? সেটা তো যোগী আদিত্যনাথের সরকার সরকার করতে পারে।”
প্রসঙ্গত, www.wbbsedata.com এই ওয়েবসাইটটিতে ১৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে ৩১ অগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম পূরণ করা যাবে।