প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের পর এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও হতে চলেছে অনলাইনে। আনুষ্ঠানিক ভাবে এ খবর জানানো হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে হওয়াকে স্বাগত জানালেও পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ডেটা অপারেটর নিয়ে প্রশ্ন রেখেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিক্ষক মহলে।
এ বছর যারা নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে, তারাই ২০২৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নবম শ্রেণিতে সম্পন্ন করতে হয়। তবে এ বার আর অফলাইনে নয়, অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে স্কুলগুলিকে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অনলাইন ব্যবস্থা এখন অপরিহার্য। কিন্তু এই ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে বহু স্কুলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেই, কম্পিউটার নেই, ইন্টারনেট সংযোগও অত্যন্ত দুর্বল। এগুলির দিকেও সরকারের একটু নজর দেওয়া উচিত।”
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতীম বৈদ্য বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকের মতো মাধ্যমিক বোর্ডও ডিজিটালাইজেশনের পথে অগ্রসর হয়েছে। এর ফলে রেজিস্ট্রেশনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে পড়বে। টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তকরণ, প্রত্যেকটি বিষয়ের ভুল ভ্রান্তি অনেকটাই কম হবে।”
এত দিন পর্যন্ত নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন করতে হলে বেশ কিছু ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হত স্কুলগুলিকে। প্রথমে ক্যাম্প অফিস থেকে ফর্ম তোলা, তার পরে পড়ুয়াদের দিয়ে তা পূরণ করানো, টাকা জমা দেওয়া, ভুলভ্রান্তি হলেও পর্ষদের দফতরেও দৌড়তে হত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের। অনলাইনে হওয়ায় দৌড়ঝাঁপের বিষয়টি থাকবে না বলে মনে করছে শিক্ষকমহল। কাজের অতিরিক্ত চাপ কমবে, শিক্ষাকর্মীদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিতেও সুবিধা হবে।
নারায়ণ দাস বাঙুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “পদ্ধতিটা নতুন হলেও এই কাজে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় স্কুলগুলির। এক দিকে যেমন কর্মীদের উপর কাজের চাপ কমবে তেমনই পড়ুয়ারা তাদের পূরণ করা ফর্ম দেখতে পাবে। প্রয়োজনে সংশোধনের সুযোগও থাকবে।”
www.wbbsedata.com এই ওয়েবসাইটটিতে ১৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে ৩১ অগস্ট মধ্য রাত পর্যন্ত ফর্ম পূরণ করা যাবে। ফলে ক্যাম্প অফিস থেকে ফর্ম তোলার যে ঝামেলা স্কুলগুলির থাকত, তা এ বার অতীত হয়ে গেল।
এ প্রসঙ্গে, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “এই পোর্টালের সঙ্গে যদি বাংলার শিক্ষা পোর্টাল লিঙ্ক করা থাকে, তা হলে অবশ্যই বাংলা শিক্ষা পোর্টালের সার্ভার ঠিক থাকতে হবে। না হলে উচ্চ মাধ্যমিকের মতো কিছু সমস্যা দেখা দেবে।”