প্রতীকী ছবি।
আর এক মাসও সময় নেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে। সব বিষয়েরই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইংরেজি বিষয়ের কোন কোন দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন, কী ভাবে প্রশ্নের উত্তর লিখলে বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই সমস্ত বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক স্বর্ণেন্দু সরকার।
এ বারে মাধ্যমিক পরীক্ষা যে হেতু অনেকটাই এগিয়ে এসেছে, তাই অনেকই হয়ত এখনও সব বিষয়গুলো ঠিক মতো গুছিয়ে উঠতে পারেনি। সময় কম, তাই গুছিয়ে তো নিতেই হবে জীবনের বড় পরীক্ষার জন্য। ইতিমধ্যেই সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কাছেই ‘টেস্ট পেপার’ পৌঁছে গিয়েছে। ‘টেস্ট পেপার’ ভাল করে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
১) রিডিং কম্প্রিহেনশন (সিন) বা পাঠ্যপুস্তকের গল্প ও কবিতাগুলির থেকে দেওয়া প্রশ্নগুলির সঙ্গে নিজেদের সড়গড় করে নাও ভাল করে। বিশেষত কবিতার প্রশ্নগুলোর উত্তর ভাল ভাবে তৈরি রেখো। প্রয়োজনে খাতায় অনুশীলন করো।
টেস্ট পেপারে যদি এমন কোনও প্রশ্ন দেখতে পাও যা লিখতে সমস্যা হচ্ছে তা হলে এখনই শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভাল।
২) ‘সত্য’ ও ‘মিথ্যা’ নির্ধারণ ‘টি’ বা ‘এফ’ লেখার সময় সতর্ক হতে হবে। ওভার রাইটিং করবে না। ভুল হলে কেটে বাক্সের বাইরে লিখবে।
৩) আনসিন প্যাসেজগুলো টেস্ট পেপারস থেকে ভাল করে অভ্যাস কর, বিশেষ করে খবরের কাগজের থেকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিকে নজর দাও ভাল করে। ভোকাবুলারি অংশে দেওয়া শব্দগুলোর মানে বোঝার চেষ্টা করো প্রথমে। সাধারণত ভোকাবুলারিতে দেওয়া শব্দগুলো নাউন অ্যাডজেক্টিভ অথবা ভার্ব হয় থাকে। তাই প্যাসেজের ভিতরে এই জাতীয় শব্দগুলির দিকে নজর রাখো।
৪) গ্রামার বা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে ন্যারেশন চেঞ্জ এবং ভয়েস চেঞ্জ প্রায় প্রতি বছরই আসে। তাই এগুলি ভাল করে শিখে রাখ। ফ্রেসাল ভার্বের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখার সময় টেন্স-এর
দিকে নজর রেখো, শূণ্যস্থান পূরণের জন্য প্যাসেজটাকে ভাল করে পড় একাধিক বার।
৫) রাইটিং স্কিলের প্রশ্নের উত্তর লেখার আগে পারলে একটা রাফ প্যাসেজে দেওয়া পয়েন্ট গুলোর উপর একটা খসড়া তৈরী করে নিলে ভাল। তা হলে মূল লেখার সময় কিছু বাদ যাবে না। এবারের জন্য স্টোরি রাইটিং, প্রসেস রাইটিং, পার্সোনাল লেটার রাইটিং এবং রিপোর্ট রাইটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রসেস লেখার সময় একটি বা দু’টি বাক্যে ভূমিকা হিসাবে লিখবে এবং চেষ্টা করবে প্রসেসকে প্যাসিভ ভয়েসে লিখতে। নিউজ় পেপার রিপোর্ট রাইটিং-এর ক্ষেত্রে দিনক্ষণ (সময় ও তারিখ) এবং ‘বাই অ্যা স্টাফ রিপোর্টার’ কথাটি লিখতে ভুলো না।
সবশেষে বলি, সবই তোমাদের তৈরী হয়ে গিয়েছে প্রায়, শুধু জানা জিনিসগুলো পরীক্ষার হলে গিয়ে যেন ভুল করে না আসো তার জন্য প্রতিদিন টেস্ট পেপার থেকে কিছুটা করে সমাধান করো, সেটা গ্রামারের প্রশ্নই হোক বা পাঠ্যপুস্তকের থেকে দেওয়া গল্প কবিতা হোক। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে পরীক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়।