প্রতীকী ছবি।
দোরগোড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এই সময় ভূগোল প্রশ্নপত্রের উত্তর ঠিক কী ভাবে লিখলে বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সেই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক। যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক প্রদীপ কর পরামর্শ দিয়েছেন।
পাঠ্যসূচি ও প্রশ্নপত্রের কাঠামো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা :
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আগে বুঝে নিতে হবে ভূগোল বিষয়ের সমগ্র পাঠ্যসূচি। সে ক্ষেত্রে, ভূগোলের যে পাঠ্যবই রয়েছে সেটি ভাল করে বেশ কয়েক বার পড়ে নিতে হবে। এ ভাবে পড়লে আত্মবিশ্বাস কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর সহজেই দিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নপত্রের সঠিক কাঠামো জানার জন্য বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র ভাল করে দেখা দরকার। কোন কোন বিভাগে বিকল্প প্রশ্ন থাকে এবং তা কোন কোন অধ্যায় থেকে আসে সে সম্পর্ক এ সম্যক ধারণা তৈরি করতে হবে। বিকল্প প্রশ্নগুলি থেকে কোনগুলির উত্তর পরীক্ষাতে লিখবে তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা প্রয়োজন।
ভাল উত্তরপত্রের প্রস্ততি:
পাতার বামদিকে তিন সেমির মতো জায়গা ছেড়ে পেনসিল বা পেন দিয়ে মার্জিন টানলে ভাল।
প্রতিটি প্রশ্নের ক্রমিক সংখ্যা স্পষ্ট করে লিখতে হবে।
একটি প্রশ্নের উত্তর লেখার পর কিছুটা জায়গা ছেড়ে পরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে।
রচনাধর্মী এবং বিশ্লেষণমূলক প্রশ্নগুলির উত্তর পয়েন্ট ভিত্তিক লিখতে হবে এবং প্রতিটি পয়েন্টের শিরোনাম দেওয়ার চেষ্টা করা দরকার । শিরোনামটি কালো কালিতে লিখলে মূল উত্তরটি নীল কালিতে লিখলে দেখতে ভালো লাগবে। উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর নীচে রেখা টেনে স্পষ্ট করে দেবে।
প্রতিটি প্রশ্ন খুঁটিয়ে পড়ে নির্দেশ অনুসারে সঠিক উত্তর দেবে। যেখানে চিত্র বা মানচিত্র অঙ্কনের নির্দেশ রয়েছে সেগুলিতে অবশ্যই চিত্র বা মানচিত্র অঙ্কন করবে। অন্যগুলোর ক্ষেত্রেও চিত্র বা মানচিত্র অঙ্কন করলে উত্তরের উৎকর্ষতা বাড়বে।
প্রশ্নের মান ও নির্দেশ অনুসারে উত্তর লিখতে হবে। উত্তর অযথা বড় বা সংক্ষিপ্ত হবে না। উত্তর লেখার সময়, সময় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।
যেখানে বিকল্প প্রশ্ন থাকে সেখানে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর রচনাধর্মী (পশ্চিম হিমালয় এর ভূমিরূপের বিবরণ দাও) সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। কারণ নির্দেশ কর (পূর্ব ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের উন্নতির কারণগুলি লেখ), বৈশিষ্ট্য লেখ (ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখ)–এই ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখলে যেমন সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায় তেমনি সময়ও সাশ্রয় হয়।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাক্যে উত্তর লিখলে ভুলের পরিমাণ কমে যাবে। এই প্রশ্নগুলো এভাবে লেখা যেতে পারে ।
উদাহরণ :
প্রশ্ন– নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপটি হল
ক) প্রপাত কূপ খ) ঝুলন্ত উপত্যকা গ) ক্র্যাগ অ্যান্ড টেল ঘ) নদী চর ।
উ: নদীর ক্ষয়জাত ভূমি রূপটি হল ক ) প্রপাত কূপ
বিভাগ ‘চ’ এর ম্যাপ পয়েন্টিং:
বিভাগ ‘চ’ এর ৬ নং প্রশ্নের ভারতের রেখা মানচিত্রে বিভিন্ন বিষয়কে উপযুক্ত প্রতীক ও নাম–সহ চিহ্নিত করতে হয়। বিষয়গুলোকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করার জন্য বার বার অনুশীলনের প্রয়োজন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে। মানচিত্রে বিভিন্ন উপাদানের জন্য বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করা দরকার। তাদের সঠিক অবস্থানে দেখাতে হবে এবং সেই সঙ্গে প্রশ্নের ক্রমিক সংখ্যা ও প্রশ্ন অনুসারে নাম লিখতে হবে। বিষয়গুলোকে দেখানোর জন্য রং এর ব্যবহার এবং নির্দেশিকা সারণি দেওয়া আবশ্যক নয়।