ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ে পরামর্শ। প্রতীকী ছবি।
মাস পেরোলেই মাধ্যমিক। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পরীক্ষার সময় অনেক শিক্ষার্থীই জানা প্রশ্ন সময়ের অভাবে লিখে আসতে পারে না। ফলে আশানুরূপ নম্বর পাওয়া হয় না। পরীক্ষায় ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্রের কোন দিকগুলির উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন তারই পরামর্শ দিচ্ছেন পাঠভবন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথমে নজর দেওয়া প্রয়োজন প্রশ্নপত্রের ধরনে
১ নম্বর করে ১৫টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। ১ নম্বর করে ২১টি সংক্ষিপ্ত উত্তরের প্রশ্ন থাকে। তার মধ্যে এক/ দুই বাক্যে উত্তর, ম্যাচ দ্য কলম, সত্য/ মিথ্যা থাকে।এর পর ২ নম্বর করে ৯টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে।এবং শেষে ৩ নম্বর করে ১২টি প্রশ্ন থাকে।
এ বার জেনে নেওয়া প্রয়োজন কোন প্রশ্নে কত সময় দেওয়া প্রয়োজন
গ্রুপ এ
১৫টি এমসিকিউ-এর সমাধান করতে খুব বেশি সময় লাগে না। ঠিক মত প্রস্তুতি থাকলে আধ ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব।
গ্রুপ বি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে ২ নম্বর করে থেকে। বইয়ের প্রতিটি অংশ খুঁটিয়ে পড়া উচিত। উত্তরের মধ্য দিয়েই বোঝা যায় কতটা সাজেশন ভিত্তিক উত্তর আর কতটা খুঁটিয়ে বই পড়া উত্তর। তাই, ২ এ ২ পেতে হলে, খুঁটিয়ে বই পড়া প্রয়োজন। এই বিভাগে ৩০ মিনিট মত সময় রাখলে ভাল।
গ্রুপ সি
এই বিভাগে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় রাখা ভাল। এখানে সাধারণত, ‘গ্যাসের সূত্র,’ ‘প্রতিসরাঙ্ক’ সংক্রান্ত অঙ্ক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রশ্নে ‘বিকল্প’ থাকে, যে বিকল্পে (১+১) মান বিভাজন থাকে। সেগুলিতে বেশি নম্বর তোলার সম্ভাবনা থাকে।
গ্রুপ ডি
এই বিভাগে প্রথমেই ৪.১ এবং ৪.২ প্রশ্নে গাণিতিক প্রশ্নাবলি থাকে। ঠিক মত টেস্ট পেপার ও বইয়ের অঙ্ক করে গেলে, এখান থেকে অনেক প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা থাকে। এই বিভাগেও সঠিক ভাবে উত্তর লিখতে পারলে পূর্ণমান পাওয়া যায়। ১২টি প্রশ্ন ১ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা ভাল।
শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি
বছরের প্রথম থেকেই রিভিশন শুরু করে দেওয়া প্রয়োজন। পাঠ্যবই বার বার পড়তে হবে। কোনও অধ্যায় বাদ দিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়া ঠিক হবে না। ভৌতবিজ্ঞান নিয়ে যদি এখনও ভয় থাকে, তা হলে বাড়িতে কারও সাহায্য নিয়ে টেস্ট পেপার সমাধান করা প্রয়োজন। এর ফলে, পরীক্ষায় প্রশ্ন চেনা ও লেখা সহজ হবে।সর্বোপরি বিষয়ে বস্তুর সারমর্ম অনুধাবন করে, বুঝে পড়লে প্রাপ্ত নম্বর ভাল হবে। অতিমারি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের লেখার গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই, বাড়িতে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট পেপার সমাধান করার অভ্যাস করা প্রয়োজন। অঙ্কের ক্ষেত্রে সঠিক একক নির্বাচনে ভুল যেন না হয়, সেই দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার পর মিলিয়ে নেওয়া ভাল।