উচ্চ মাধ্যমিকে রসায়ন বিষয়ের টিপস। প্রতীকী ছবি।
২৫ মার্চ, শনিবার উচ্চ মাধ্যমিকের রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা। দশম শ্রেণি পাশের পর যে সমস্ত শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ বা বায়ো সায়েন্স নেয়, তাদের বিষয় হিসাবে রসায়ন থাকেই। এবারের রসায়ন পরীক্ষায় কোন কোন দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক।
শিক্ষক জানিয়েছেন, ফিজিক্যাল কেমেস্ট্রির যে প্রবলেমগুলি থাকে, সেখানে ইউনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ইউনিটগুলি যথাযথ ভাবে করা প্রয়োজন।
‘টু দ্য পয়েন্ট’ উত্তর লেখা ভাল। অকারণে বেশি লেখার প্রয়োজন নেই।
রসায়নে তিনটি বিভাগ রয়েছে:
১) অজৈব রসায়ন (ইনঅরগ্যানিক)
২) জৈব রসায়ন (অরগ্যানিক)
৩) ফিজিক্যাল
এর মধ্যে অরগ্যানিক বিভাগেই বেশি নম্বর থাকে। এই ক্ষেত্রে বিষয়গুলি যেহেতু মূলত এটি রিয়্যাকশন-নির্ভর, তাই রিয়্যাকশন গুলি ভাল করে লিখে লিখে মনে রাখা দরকার। পাশপাশি, ‘রিএজেন্টের ক্যাটেগরি’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ভাবে এগুলির উত্তর লিখে আসা প্রয়োজন। এগুলি শেষ মুহূর্তে ভাল ভাবে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
‘কী ঘটবে রাসায়নিক সমীকরণ সহ বলো’-এই বিভাগে অরগ্যানিকের ক্ষেত্রে ‘কমপ্লিট ব্যালেন্স ইকুয়েশন’ লিখে আসা দরকার। এর ফলে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়।
দু’টি কম্পাউন্ডের মধ্যে যখন পার্থক্য আসে, তখন রাসায়নিক ভাবে যে পার্থক্য করা হয়, সেটিই লিখতে হবে। ভৌত ভাবে পার্থক্য লিখলে নম্বর পাওয়া যায় না।
শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কম্পাউন্ডের গঠন (স্ট্রাকচার) এবং ফর্মুলা লিখলেই হবে। কম্পাউন্ডের নাম লেখার প্রয়োজন নেই। তবে, রিএজেন্টের বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে।
ইনঅরগ্যানিক থেকে কম প্রশ্নই থাকে। মূলত, ইনঅরগ্যানিকের সিলেবাসটা ভাল ভাবে খুঁটিয়ে দেখে যাওয়া ভাল। ইনঅরগ্যানিকের প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘স্পেসিফিক ব্যালান্স ইকুয়েশন’ লিখে আসা প্রয়োজন।
যেহেতু এমসিকিউ-এর উত্তরগুলি খুব কাছাকাছি থাকে, তাই সে ক্ষেত্রে উত্তর লেখার সময় সতর্ক ভাবে দেখে নিয়ে লেখা ভাল।
সব শেষে বলা যায়, ভাল ভাবে শরীর সুস্থ রেখে ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লিখে এলে পরীক্ষা ভাল হতে পারে।
(পরামর্শ দিয়েছেন পাঠভবনের স্কুলের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক সব্যসাচী প্রামাণিক)