UGC Revised Life Skill Curriculum

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের 'জীবন কৌশল' সিলেবাসে সমাজমাধ্যম-সহ নানা বিষয়ের উপর জোর ইউজিসির

সম্প্রতি স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য জীবনশৈলীর কোর্স (জীবন কৌশল ২.০)-এর চালুর সময় ইউজিসি এ সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশিকা এবং পাঠ্যক্রমের বিষয়ে ঘোষণা করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ১৮:০৪
UGC

ইউজিসি। সংগৃহীত ছবি।

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ডিজিটাল সাক্ষরতা (লিটারেসি) এবং সামাজমাধ্যম, লিখিত সংযোগ স্থাপন, কগনিটিভ এবং নন কগনিটিভ দক্ষতা, নৈতিকতা এবং সততা, নিজস্ব আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থাপনা-সহ নতুন যুগের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতার পাঠ দেওয়া হবে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)-এর জীবনশৈলীর নতুন সংশোধিত পাঠ্যক্রমে। সম্প্রতি স্নাতকের পড়ুয়াদের জন্য জীবনশৈলীর কোর্স (জীবন কৌশল ২.০)-এর চালুর সময় ইউজিসি এ সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশিকা এবং পাঠ্যক্রমের বিষয়ে ঘোষণা করে।

Advertisement

এর আগে ২০১৯-এর জীবন কৌশল প্রকল্পে পড়ুয়াদের জন্য ইউজিসি বেশ কয়েকটি অভিনব বিষয় পাঠ্যক্রমে যোগ করে। এর মধ্যে ছিল ‘গুগল সার্চ’-এর উন্নত ব্যবহার, যোগাসন, প্রাণায়াম এবং জীবনপঞ্জি বা রিজিউমে লেখা। এ বার জীবন কৌশল ২.০-য় জোর দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার উপর। কেন না, এগুলিই পড়ুয়াদের মধ্যে বর্তমান চাকরি ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই প্রসঙ্গে ইউজিসি সচিব এম জগদেশ কুমার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে জানিয়েছেন, এখন অনেক পেশাতেই প্রয়োজন পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং এবং এনগেজমেন্ট-সহ নানা বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানের। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে পাঠদান পড়ুয়াদের সেই সমস্ত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, যা তাঁদের ভবিষ্যতে চাকরি পেতে এবং সফল কেরিয়ার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি কোর্সে দুই ক্রেডিট পয়েন্ট থাকবে। সমস্ত কোর্স মিলিয়ে থাকবে মোট আট ক্রেডিট পয়েন্ট। কোর্সগুলিকে ‘ফাউন্ডেশনাল (মৌলিক) কোর্স’-এর সমতুল বলে গণ্য করা হবে। পড়ানো হবে আর্টস, সায়েন্স, কমার্স, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ সমস্ত শাখায়। কুমার জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি বলবৎ হওয়ার ফলে এই ধরনের কোর্স চালু করাও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে ক্রেডিট পয়েন্টের জন্য এই ধরনের কোর্স একটি সেমেস্টারে দু’টির বেশি নেওয়া যাবে না। কোর্সগুলি পড়াবেন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে নিয়োগ করা হতে পারে ‘প্রফেসর অফ প্র্যাকটিস’ও।

ইউজিসি সচিব জানিয়েছেন, কোর্সগুলির পাঠ্যক্রম আগামী তিন-চার বছরে আবারও পরিবর্তন করা হতে পারে। কেন না, কোর্সগুলি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করে পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক এবং চাকরি ক্ষেত্রের জন্য যথোপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement