ইউজিসি। সংগৃহীত ছবি।
দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার প্রসারে উদ্যোগী ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) এবং ভারতীয় ভাষা সমিতি। ইতিমধ্যেই হয়েছে বেশ কিছু কাজ। মঙ্গলবার আরও একটি যৌথ প্রকল্পের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয় ইউজিসি এবং ভারতীয় ভাষা সমিতির তরফে। ‘অগমেন্টিং স্টাডি মেটিরিয়ালস ইন ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গোয়েজেস থ্রু ট্রান্সলেশন অ্যান্ড অ্যাকাডেমিক রাইটিং’ বা ‘অস্মিতা’ নামে ওই প্রকল্পটির সূচনা করেন কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা সচিব সঞ্জয় মূর্তি।
'অস্মিতা’ প্রকল্পটির মাধ্যমে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজনীয় স্টাডি মেটিরিয়াল বা পাঠ্যসামগ্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি করাই মূল উদ্দেশ্য। এর আওতায় বিভিন্ন বিষয়ের বইয়ের অনূদিত সংস্করণের পাশাপাশি মৌলিক পাঠ্যবইও রচনা এবং প্রকাশ করা হবে। লক্ষ্য, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরে ২২টি আঞ্চলিক ভাষায় ১,০০০টি করে মোট ২২ হাজার বই প্রকাশ করা।
একই সঙ্গে ‘বহুভাষা শব্দকোষ’ এবং ‘রিয়েল টাইম ট্রান্সলেশন আর্কিটেকচার’ নামক আরও দু’টি প্রকল্পও চালু করা হয়। ‘বহুভাষা শব্দকোষ’ অভিধান তৈরির ক্ষেত্রে ভারতীয় ভাষা সমিতিকে সাহায্য করবে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গোয়েজেস (সিআইআইএল)। নয়া অভিধানের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প, গবেষণা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন আধুনিক শব্দবন্ধের অর্থ জানতে পারবেন পড়ুয়ারা।
‘অস্মিতা’ প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য ১৩টি নোডাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়া হবে। তাদের সহযোগিতা করবে নানা আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসি সচিব জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় বই রচনার জন্য কিছু নিয়মবিধিও নির্ধারণ করেছে কমিশন। জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই প্রকল্পগুলি চালু করা হচ্ছে। কুমারের আশা, এর মাধ্যমে দেশের পড়ুয়াদের মধ্যে ভাষাভিত্তিক বিভাজন দূর করা সম্ভব হবে।