Three years course

প্রথাগত শিক্ষার সঙ্গে বৃত্তিমুখী পাঠক্রম বাধ্যতামূলক কলেজে

প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের কম্পিউটার, কমিউনিকেটিভ ইংরেজি থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ-এর প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন কলেজে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৬

নিজস্ব চিত্র।

প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের কম্পিউটার, কমিউনিকেটিভ ইংরেজি থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ-এর প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন কলেজে।

Advertisement

কলেজের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা বেদরূপপ্রাণা বলেন, “মহিলাদের স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভর করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি তিন বছরে বেশকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যা ছাত্রীদের সমাজের সবদিক দিয়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে।”

দমদমের নয়াপট্টি এলাকায় এই কলেজটির অবস্থান। এই কলেজে মূলত প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে আসেন। তাঁদের মেধার উৎকর্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মমুখী করে তোলাও একটা বড় বিষয় বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তাই কলেজের ১১টি অনার্স এবং ১৪টি জেনারেল বিষয়ের উপর পড়ানোর পাশাপাশি স্নাতকোত্তরে ডিগ্রি প্রদান করা হয় দর্শনের উপর।

প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি প্রথম যে পাঠক্রম পড়ানো হয় সেটি হল, ‘মাস্টার ইন কম্পিউটার স্কিল।’ এই পাঠক্রমের মাধ্যমে মূলত ছাত্রীদের বিগিনার, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্স পর্যায়ের কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এই পাঠক্রমের শেষে ছাত্রীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন(এনএসডিসি)-এর তরফ থেকে।

কম্পিউটারে পারদর্শী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীরা ইংরেজি ভাষায় যাতে সাবলীল ভাবে কথোপকথন করতে পারে তার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

তাই ‘কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’ ক্লাস করানো হচ্ছে তিন বছর ধরে। বৃত্তিমুখী পাঠক্রম হিসেবে ‘সফট স্কিল কোর্স’-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ছাত্রীদের। মূলত এখানে, চাকরিতে বসার আগে কী ভাবে ইন্টারভিউ-এর প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন তা শেখানো হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেমিস্টারে আগ্রহী ছাত্রীরা এই পাঠক্রমটিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এ ছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যে সমস্ত পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করতে চান তাঁদেরকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

শুধু যে বৃত্তিমুখী পাঠক্রম শেখানো হয় তা নয় ছাত্রীদের ফিটনেস এর উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়, তার জন্য করানো হয় যোগা ক্লাস। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম দু’বছর এই যোগা ক্লাস করতে হয় পড়ুয়াদের। আর ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রীদের অ্যাডভান্স লেভেলের যোগা ক্লাস করানো হয়।

এ ছাড়াও বেশ কিছু মূল্যবোধ শিক্ষার বিষয়ও পড়ানো হয়ে থাকে, যার মধ্যে মহাপুরুষদের জীবনী, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ও বিভিন্ন মোটিভেশনাল ক্লাসও করানো হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

Advertisement
আরও পড়ুন