WB TET Candidates

প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় কমছে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা

২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৪
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবন।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবন। নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিকে শিক্ষাদানের যোগ্যতা অর্জনের পরীক্ষায় আবেদনের সংখ্যা ৫০% কমতে চলেছে। এক বছরের মাথায় দ্বিতীয়বার ১০ই ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট আয়োজন করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই আবেদনের টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে ডিএলএড ও বিএড-এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছিলেন। তবে এ বছর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।

২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর প্রাথমিকের টেটে আবেদন করতে পারবেন না বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। পাশাপাশি পর্ষদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এ বছর শূন্য আসনের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দীর্ঘ পাঁচ বছর বাদে প্রাথমিকের টেট হয়েছিল সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছ’লক্ষ ৯০ হাজার। আর পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ছ’লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। ২০২৩ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা শুরু হয়েছিল এবং ৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার যাঁরা আবেদন করেও টাকা জমা দেননি তাঁদের জন্য একদিন বাড়তি ধার্য করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে চলতি সপ্তাহে তাদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা সংক্রান্ত মডেল উত্তরপত্র ও কোন বিভাগে কত নম্বর ধার্য করা হয়েছে তার সমস্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। গত বছরের মতো এ বছরও পরীক্ষার নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিসিটিভির নজরদারি থেকে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সব রকম ব্যবস্থা রাখতে চলেছে পরীক্ষার্থীদের জন্য।

এ বছর পরীক্ষা শুরু হবে হবে দুপুর ১২টা থেকে, চলবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।

আরও পড়ুন
Advertisement