New inventions Jadavpur university

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় রোবটিক ড্রোনের আবিষ্কার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

সোয়ার্ম ড্রোনে থাকছে না কোন ক্যামেরা তার বদলে থাকছে রোবটিক্স টেকনোলজি এবং ৫জি

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৫
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হচ্ছে সোয়ার্ম ড্রোন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হচ্ছে সোয়ার্ম ড্রোন

দুর্গম এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার সহায়ক হিসাবে কাজ করতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়ের বুকে হঠাৎ করে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাহাড় ভেঙে হরপা বানের সৃষ্টির ফলে বহু তীর্থযাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এ বার এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর দুর্ঘটনাস্থলে আটকে থাকা মানুষদের যাতে সহজে চিহ্নিত করে উদ্ধার করা যায়, তার জন্য বিশেষ ধরণের ড্রোন বানাতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং- এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ডের (এসইআরবি) সহযোগিতায় ‘সোয়ার্ম ড্রোন’ বানাতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক-সহ হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক। অধ্যাপক এবং প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর সায়ন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গম স্থানে যেখানে মানুষ পৌঁছতে পারে না সেখানে নজরদারি চালাবে উন্নত মানের সোয়ার্ম ড্রোন। এর ফলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষকে সহজেই উদ্ধার করা যাবে।”

বর্তমানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ড্রোনের ব্যবহার দেখে থাকি, পুজোর সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে। তবে এই সমস্ত ড্রোন গুলির থেকে আলাদা হল সোয়ার্ম ড্রোন। এই ড্রোনে থাকছে না কোন ক্যামেরা। তার বদলে থাকছে রোবটিক্স টেকনোলজি এবং ৫ জিকমিউনিকেশন বিশিষ্ট অ্যান্টেনা।

এ ছাড়াপ্রতিটি ড্রোনে একটি বিশেষ বক্স থাকবে যা যান্ত্রিক ভাবে পরিচালনা করা হবে। এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করার সময়ঘটনাস্থলেএকঝাঁক ড্রোন উড়ে যাবে। এরা প্রত্যেকে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে এআই প্রযুক্তি দ্বারা যুক্ত থাকবে। এবং দুর্গম এলাকায় তারা মানুষের উপস্থিতি চিহ্নিত করবে। এগুলি মূলত নিয়ন্ত্রণ করা হবে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে।

এই ড্রোনগুলি পাহাড়ের অনেক গভীরে নিচু এলাকায় পৌঁছে যেতে পারবে এবং যেখানে মানুষ আটকে থাকবে ততক্ষণাৎ হেলিকপ্টারে সিগনালপাঠানোর পাশাপাশি, বাকি ড্রোন গুলির কাছেওপৌঁছেযাবেসিগনাল। হেলিকপ্টারেথাকাউদ্ধারকারী দল সহজেই সেই জায়গায় পৌঁছে যাবেদ্রুত।যদি কোনও ড্রোনের যান্ত্রিক সমস্যা হয়, সে নিজেই তার সমাধান করতে পারবে,ড্রোনের গায়ে লাগানো বক্সের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এর মাধ্যমে। এই প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানাচ্ছেনযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement