Jadavpur University

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে এখনও অসন্তুষ্ট আচার্য, ফের পত্রাঘাত রাজ্যপালের

সমাবর্তনকে 'সম্পূর্ণ বেআইনি' বলে অ্যাখা দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, উপাচার্যের ব্যাখ্যার পরেও এই সমাবর্তনের আয়োজন নিয়ে রাজ্যপাল সন্তুষ্ট নন— এমনটাই চিঠির ছত্রে ছত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৪

সংগৃহীত চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে ফের সমাবর্তন নিয়ে পত্রাঘাত আচার্যর। রাজভবনের তরফ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট না মেনে তাড়াহুড়ো করে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টিকে 'সম্পূর্ণ বেআইনি' বলে অ্যাখা দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, উপাচার্যের ব্যাখ্যার পরেও এই সমাবর্তনের আয়োজন নিয়ে রাজ্যপাল সন্তুষ্ট নন— এমনটাই চিঠির ছত্রে ছত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এটাও উল্লেখ করেছেন তাঁর চিঠিতে যে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে কিছু দিনের মধ্যেই। তাঁর হাতেই সমাবর্তনের দায়িত্ব দেওয়া ভাল। এত তাড়াহুড়ো কেন করা হচ্ছে? তিনি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, নতুন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পরেই সমাবর্তনের আয়োজন করা উচিত। নয়তো সমাবর্তনে দেওয়া ডিগ্রি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে পড়ুয়াদের।

রাজ্যপালের সঙ্গে গত শুক্রবার উপাচার্য দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন। সমাবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৈফত তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। তার পরেও তিনি মনে করেন, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই কনভোকেশন (সমাবর্তন) আয়োজিত হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখা, সমাবর্তনের আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। খাতায় কলমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তিনি

এখনও স্পষ্ট করেননি, আচার্য হিসাবে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কি না।

২৪ ডিসেম্বর যাদবপুরে সমাবর্তন। যেখানে সাড়ে তিন হাজার মতো পড়ুয়াকে ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় ৪০০ জন পিএইচডি স্কলার। সমাবর্তনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এগ্‌জ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক হয়েছিল। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে কত জনকে শংসাপত্র দেওয়া হবে, তা এই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা রাজভবনকে জানানো হয়। এ বার তা জানানো হয়নি বলে আগেই উল্লেখ করেছিল রাজভবন। অভিযোগ, প্রথা মেনে রাজভবনের কোন‌ও অনুমতিও গ্রহণ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
আরও পড়ুন