সংগৃহীত চিত্র।
প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। সব থেকে বেশি পাশের সংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। পাশের হার ৯৭.১৯ শতাংশ। অন্যান্য সর্বভারতীয় বোর্ডগুলিতে ৯০% পাওয়া পরীক্ষার্থীর তুলনায় এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ পাওয়ার সংখ্যা কম। সেখানে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ৯০ শতাংশ বেশি পেয়ে পাশ করেছে ৩,০২২ জন পড়ুয়া।
চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। বছরে উচ্চ মাধ্যমিকের পরিবর্তে শুরু হচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি। এ ছাড়াও আরও অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে শিক্ষা সংসদের তরফে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল ঘোষণার পরে শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৩ বছর পরে সিলেবাসের আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেমেস্টার পদ্ধতি শুরু করা হচ্ছে। আশা করছি, এর ফলে শিক্ষা সংসদের পড়ুয়ারাও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় ভাল নম্বর পাবে। সেমেস্টার পদ্ধতিতে পার্সেন্টাইল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।”
ফিরে আসা যাক শিক্ষা সংসদের দেওয়া পরিসংখ্যানে। চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিয়েছে মোট ১ লক্ষ ৫ হাজার ৮১০ জন। পাশ করেছে শতাংশের নিরিখে ৯৭.১৯ শতাংশ। মেধা তালিকায় ৫৮ জনের মধ্যে ৪০ জনই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। প্রথম তিন জনের প্রত্যেকেই বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া।
এ ছাড়াও, বাণিজ্য বিভাগে চলতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ৪২৯। শতাংশের নিরিখে পাশের হার ৯৬.০৮। বাণিজ্য বিভাগ থেকে এক জনও মেধাতালিকায় স্থান দখল করতে পারেনি। কলা বিভাগে চলতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলন ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৯২ জন। শতাংশের নিরিখে পাশের হার ৮৮.০২। ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন ৪০.৯২ শতাংশ পড়ুয়া। ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ২২.৩৮ শতাংশ পড়ুয়া। ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৮.৪৭ শতাংশ পড়ুয়া। উল্লেখযোগ্য ভাবে যেখানে আইএসসি-তে দেখা গিয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে উচ্চ মাধ্যমিকে ২৮ হাজার ৩৩১ জন পাশ করেছে। যা শতাংশের নিরিখে ১.২৩। যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৪ হাজার ৭৭৯ এবং ছাত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৫২ জন। অর্থাৎ এখানেও আইএসসি-র থেকে পিছিয়ে রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। বাণিজ্য বিভাগে পাশ করেছে ৭১৮ জন। কলা বিভাগে পাশ করেছে ৪ হাজার ৪৬২ জন। বৃত্তিমূলক বিষয়ে ১২৯ জন পাশ করেছে ৯০ শতাংশের বেশি পেয়ে।