প্রতীকী ছবি।
শিশুদের কাছে স্কুলজীবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যে তারা জাতপাত, ধর্ম নির্বিশেষে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে। মাথার উপর পোক্ত ছাদ থাকুক বা না থাকুক, শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেই বিষয়টি শিক্ষকেরা সুনিশ্চিত করে থাকেন। তাই সঠিক পঠনপাঠনের পরিবেশ গড়ে তুলতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলশিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই প্রশিক্ষণটি ইউনাইটেড নেশনস্ চিল্ড্রেনস্ ফান্ড (ইউনিসেফ) এবং পশ্চিমবঙ্গ স্কুলশিক্ষা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে করানো হবে। এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ৫ থেকে ৭ অক্টোবর, ২ থেকে ৪ নভেম্বর এবং ৯ থেকে ১১ নভেম্বর বিভিন্ন জেলার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ওই প্রশিক্ষণের সাহায্যে শিশুদের যৌন হেনস্থা, শারীরিক নিযার্তন এবং অকারণ ধমকের মতো বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন করা হবে। এ ছাড়াও অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কী কী কাজ করা দরকার, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্কুল চত্বরে থাকলে কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, তাও শেখানো হবে।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে পাঠানো হয়েছে, যা ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগতও করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, পুরুলিয়া, মালদহ, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্কুলে মোট ৫,৯৪৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর পর প্রথম ভাগে হলদিয়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, হুগলি, শিলিগুড়ি জেলার বিভিন্ন স্কুলের ৫,৯৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং দ্বিতীয় ভাগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, বাঁকুড়া জেলার ৫,৮৮৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।