প্রতীকী ছবি।
চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। স্কুলস্তরের পড়ুয়াদের মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযান সম্পর্কিত বিষয়ে শেখাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৭ অক্টোবর, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘আপনা চন্দ্রযান’ নামক একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এই পোর্টালটির মাধ্যমে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা বই, অনলাইন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, পাজ়লস সমাধানের মতো বিভিন্ন ধরনের বিষয় জানার এবং শেখার সুযোগ পাবে।
নয়াদিল্লিতে হয়ে যাওয়া এই অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২১ শতকের একটি অন্যতম প্রাপ্তি এই চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য। দেশের পড়ুয়াদের এই মিশনের নেপথ্যে থাকা বিভিন্ন কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে জানা প্রয়োজন। তাই তাঁদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা বৃদ্ধি করতে ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ক্লাস করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এই ওয়েব পোর্টালে স্টাডি মেটিরিয়ালসের পাশাপাশি, বিভিন্ন মডিউলের মাধ্যমে ২২টি ভাষায় কোর্স করার সুযোগ থাকবে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেপথ্যে থাকা বৈজ্ঞানিকদের কার্যপদ্ধতি, কাজের ধরন, গোষ্টীবদ্ধ ভাবে কাজের প্রকারভেদের মতো বিষয়ের পাশাপাশি, বৈজ্ঞানিক, কারিগরিবিদ্যা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের মতো বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
অনলাইনেই যাবতীয় ক্লাস করানো হবে। ক্লাসের শেষে যে সমস্ত পড়ুয়া ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবেন, তাঁদের ডিজিটাল শংসাপত্রও দেওয়া হবে। প্রথম ১,০০০ জন সেরা পড়ুয়াদের বয়সের নিরিখে বিভিন্ন ধরনের বইও উপহার দেওয়া হবে। আগ্রহী পড়ুয়ারা চন্দ্রযান-৩ সম্পর্কিত মডিউলগুলি ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআটি)-এর ওয়েবসাইট থেকেও দেখে নিতে পারবে।
প্রাথমিক ভাবে, ২০২৪-র অগস্ট মাস পর্যন্ত পোর্টালটিকে চালু রাখা হবে। চলতি বছরের গগনযান উৎক্ষেপন সংক্রান্ত বিষয়ে নানান তথ্য ওই পোর্টাল থেকে পড়ুয়ারা পাবেন। বর্তমান প্রজন্মের স্কুলপড়ুয়াদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি, শিল্প এবং গণিত নিয়ে আরও উৎসাহ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে নিয়মিত চর্চা করলে তাদের মধ্যে উদ্ভাবন এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা উন্নীত হতে পারে, এমনটাই আশা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর।