ছবি: সংগৃহীত।
২৮-এ ফেব্রুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিকের জীববিদ্যার পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিকের জীববিদ্যায় সাফল্যের জন্য খুব নিয়মমাফিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। জীববিদ্যার ক্ষেত্রে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ নম্বর রয়েছে শুধু মাল্টিপল চয়েজ় কোয়েশ্চন (এমসিকিউ), যার মধ্যে ৪টি ১ নম্বরের প্রশ্ন, ৫টি ২ নম্বরে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। তাই প্রথমেই পড়ুয়াদের ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরগুলি লিখে ফেলতে হবে।
একই সঙ্গে, রচনাধর্মী প্রশ্নের ক্ষেত্রে ৫ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরও যথাযথ ভাবে লেখার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য পাঠ্যবইয়ে জীবের জনন, বংশগতিবিদ্যা ও বিবর্তন এবং বাস্তুবিদ্যা ও পরিবেশ— এই সমস্ত বিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখে নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। বংশগতিবিদ্যা ও অভিব্যক্তি পড়ুয়াদের ভাল করে পড়া থাকলে পরীক্ষাকেন্দ্রে উত্তর লিখতে আর কোনও সমস্যা হবে না।
প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর প্রথমে প্রশ্নগুলিকে মন দিয়ে পড়ে বুঝে নিতে হবে। কী ধরনের উত্তর চাওয়া হয়েছে, সেটা মাথায় রেখে যথাযথ উত্তর লিখতে হবে। শাপাশি, লেখার সময় হাতের লেখা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বিজ্ঞানসম্মত নাম অবশ্যই ইংরেজিতে উল্লেখ করতে হবে। ছবি আঁকার সময় কোনও ভাবেই পেন ব্যবহার করা যাবে না। কোনও ছবি আঁকার পর তার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিকে পেন্সিল দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের ক্ষেত্রে উত্তরের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ছবি আঁকতে হবে। এ ছাড়াও বিশেষ কিছু ছবি নিপুণ ভাবে আঁকার অভ্যাস করতে হবে। এর মধ্যে শুক্রাণুর গঠন,পরিণত ডিম্ব থলি,ফেমিনি ফোড়াস নালিকার কলাস্থানিক গঠন অন্যতম। রচনাধর্মী প্রশ্নের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যার পাশাপাশি পয়েন্ট করে উত্তর লিখলে বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরো বইটি ভালো করে পড়তে পারলেডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ,জেনেটিক কোডের বৈশিষ্ট্য,অভিমুখী নির্বাচন-সহ এই ধরনের বিষয়গুলির প্রশ্নের উত্তর সহজেই লেখা সম্ভব।