প্রতীকী চিত্র।
আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। এর পরই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে পরীক্ষার্থীদের মনে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনার আনাগোনা চলে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার পর দশমের পরীক্ষার্থীদের তো বটেই, পাশাপাশি দ্বাদশের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদের এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য বেশ কিছু বিষয়ে পরামর্শ রইল, যাতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর আর কোনও সমস্যা যাতে না হয়।
একদম শুরুতেই পরীক্ষার প্রথম দিন অন্তত এক ঘন্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে যেতে হবে। প্রথম দিন কোন ঘরে পরীক্ষা দিতে হবে, বসার জায়গায় পর্যাপ্ত আলো মিলছে কি না, পরীক্ষার জন্য কী কী নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট স্কুলের তরফে জারি করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলি রপ্ত করে নেওয়ার জন্যই সময়ের আগে পৌঁছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পরীক্ষার অন্যান্য দিন ২০ মিনিট আগে পৌঁছলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সহযোগিতা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে পরীক্ষার্থীদের দেখে নিতে হবে, তারা কী ধরনের লেখার বোর্ড ব্যবহার করছে। কারণ বেশিরভাগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বচ্ছ প্লাস্টিকের বোর্ড ব্যবহার করারই অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। পেন পেনসিলের ক্ষেত্রেও নীল এবং কালো কালি দিয়ে লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। স্মার্ট ঘড়ি কিংবা ট্যাবের মতো বৈদ্যুতিন সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা যাবে না। একই সঙ্গে কোনও দামি সামগ্রী নিয়েও প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই তেমন কোন সামগ্রী সঙ্গে না রাখাই শ্রেয়।
প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রথমেই ভাল করে পড়ে নিয়ে সময়ের ছক কষে ফেলতে হবে। কোন কোন প্রশ্নের জন্য বেশি সময় দিতে হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে কম সময় লাগবে, সেটা বুঝে নিয়ে লেখা শুরু করে ফেলতে হবে। চেষ্টা করতে হবে অন্তত দশ মিনিট আগে লেখা শেষ করার। তবে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে দ্রুত লেখা শেষ করার তাগিদে ভুল উত্তর না লেখাই শ্রেয়। লেখা সম্পূর্ণ হওয়ার পর তাই যত বার সম্ভব উত্তরপত্রে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে, এতে কোনও ভুল থেকে গেলেও তা সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় যে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হয়, সেই নিয়ম অনুযায়ীই পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার্থীদের হল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে আলোচনা না করাই ভাল, এতে কোনও প্রশ্নের উত্তর ভুল লিখলে সেটা নিয়ে অকারণ চিন্তা বাড়বে। আর এতে পরের দিনের পরীক্ষায় তার সরাসরি প্রভাব পড়বে।