প্রতীকী ছবি।
বিশ্বায়নের যুগ এখন প্রযুক্তি নির্ভর। নিত্যদিন বদলাচ্ছে বহু ক্ষেত্র। এক সময়ের ঘরে রাখা রেডিয়ো এখন মুঠোফোনে বন্দি। শুধু তাই নয়, রেডিয়োর টুকরো অনুষ্ঠান এখন মিলছে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমেও। অনেকেই মনে করেন রেডিয়ো সংস্থায় কাজ, মানেই হয়তো আরজে। অর্থাৎ রেডিয়ো জকি। জেনে রাখা উচিত, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রেডিয়োয় কাজ করার ক্ষেত্রে আরও অনেক বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
পেশা হিসাবে রেডিয়ো সংস্থায় কাজ করতে আগ্রহী? কিন্তু, রেডিয়ো প্রোডাকশন-এর বিষয়ে একেবারেই অবগত নন? তা হলে খোঁজ নিতে পারেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রতিষ্ঠান ছ’মাসের রেডিয়ো প্রোডাকশন কোর্স করার সুযোগ দিচ্ছে। কোর্সের কো-অর্ডিনেটর ইশান চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেডিয়োর অনুষ্ঠান করতে চাইলে কী ভাবে বিষয় নির্বাচন করতে হয়, স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে, ইন্টারভিউ নেওয়া, রেকর্ড হয়ে যাওয়ার পর তা কী ভাবে এডিট করতে হবে—সেই সব কিছুই শেখানো হবে এই কোর্সে’’।
বেশ কিছু বছর ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে অডিয়ো পডকাস্ট। ৩০ জন পড়ুয়া প্রতিষ্ঠানের এই কোর্সে ভর্তি হয়ে রেডিয়ো ছাড়াও অডিয়ো প্রডকাস্টেরও কাজ শেখার সুযোগ পাবেন। এই কোর্সটি করার জন্য স্নাতক যোগ্যতা-ই যে থাকতে হবে তারও কোনও বাধ্যবধকতা নেই। দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণরাও এই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। ফি ১৭,৭০০ টাকা। ক্লাস হবে সপ্তাহে তিন দিন সন্ধ্যায়।
ইশান জানান, ৭০ শতাংশ ক্লাসই প্র্যাক্টিক্যাল। ‘‘বোর্ড অ্যান্ড লেকচার, টক অ্যান্ড চক— ভাবে একেবারেই পড়ানো হয় না।’’ তাঁর কথায়, আকাশবাণী-সহ বহু সংস্থার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রেডিয়ো শিল্পীরা ক্লাস করান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর ধরে রয়েছে কমিউনিটি রেডিয়ো। এই কোর্সের পড়ুয়ারা সরাসরি কমিউনিটি রেডিয়োর স্টুডিয়োতে গিয়ে কাজ শেখার সুযোগ পাবেন।
ভর্তি হতে চাইলে দিতে হবে না কোনও লিখিত পরীক্ষা। আগামী ৫ ডিসেম্বর আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে নিয়ে সরাসরি চলে যেতে হবে প্রতিষ্ঠানে। ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হতে পারলেই মিলবে সুযোগ। কোর্সের পর প্রদান করা হয় শংসাপত্র। অনেক সময় সুযোগ মেলে ইন্টার্নশিপেরও। আগ্রহীরা বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটি দেখে নিন।