Career in Fashion Communication

ফ্যাশন যখন জ্ঞাপনের ভাষা! পড়াশোনা করতে চান? রইল খুঁটিনাটি

ফ্যাশনের দুনিয়া বড়ই ঝাঁ চকচকে। কিন্তু সকলেই তো আর র়্যাম্পে হাঁটেন না। বাকিরা যাঁরা পর্দার আড়ালে থাকেন, তাঁদের ছাড়া এই দুনিয়া কিন্তু অচল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ ১৩:০৯
Fashion Communicator

প্রতীকী ছবি।

লাইট, ক্যামেরা, কিউ, রোল সাউন্ড, গো!

শুধুমাত্র চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে এই কয়েকটি শব্দ বন্ধনী ব্যবহার করা হয় না। পৃথিবীতে কয়েক হাজার পেশার মধ্যে গ্ল্যামারাস এবং জনপ্রিয় ফ্যাশন দুনিয়াতেও এই একই শব্দের বিভিন্ন রকম প্রয়োগ দেখা যায়। এই ‘বিশেষ’ শিল্পে যে শুধু ডিজ়াইনার এবং মডেলই প্রয়োজন, তা কিন্তু নয়। বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের জন্য যাঁরা ফ্যাশনের দুনিয়ার কর্মী হিসেবে কাজ করছেন,তাঁরা কেউ জ্ঞাপন বিশারদ তথা কমিউনিকেশন এক্সপার্ট, কিংবা জনসংযোগ আধিকারিক, অথবা ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করে আসছেন।

Advertisement

তাই এই জগতের প্রতি যে সমস্ত পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে পেশাদার জ্ঞাপক তথা কমিউনিকেটর হওয়ার আগ্রহ রয়েছে, তাঁরা এক নজরে একটু দেখে নিতে পারেন, কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনার পর কোন কোন পেশায় প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, ভারতে ফ্যাশন ডিজ়াইনিংয়ের বিভিন্ন শাখা স্নাতকস্তরে পড়ানো হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে স্নাতকোত্তর স্তরে স্পেশালাইজ়েশন করার সুযোগও পাবেন শিক্ষার্থীরা।

কোন কোন বিষয় স্নাতকস্তরে পড়া যায়?

‘ফ্যাশন কমিউনিকেশন’, ‘ফ্যাশন ডিজ়াইন অ্যান্ড টেকনোলজি’, ‘ব্যাচেলর অফ ক্রিয়েটিভ ইনডাস্ট্রিজ়’, ‘ব্যাচেলর অফ কন্টুর ফ্যাশন’, ‘ব্যাচেলর অফ ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড কালচার ইনডাস্ট্রিজ়: ফ্যাশন প্রোমোশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন’,‘ফ্যাশন কমিউনিকেশন: ফ্যাশন জার্নালিজম’, ‘ব্যাচেলর অফ ফ্যাশন মার্চেন্ডাইজ় ম্যানেজমেন্ট’ — এই সমস্ত বিষয়ে স্নাতকস্তরে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। যাঁরা দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষাগুলিতে ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারেন।

কোন কোন বিষয় স্নাতকোত্তর স্তরে পড়া যায়?

‘ফ্যাশন কমিউনিকেশন’, ‘ফ্যাশন জার্নালিজম’, ‘ফ্যাশন আন্থ্রাপ্রিনয়রশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন’, ‘গ্লোবাল ফ্যাশন ম্যানেজমেন্ট’, ‘ফ্যাশন, এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সোস্যাইটি’, ‘ফ্যাশন বাইং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজ়িং ম্যানেজমেন্ট’, ‘মাস্টার ইন সায়েন্স’-এর আওতায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন মার্কেটিং’, ‘এথিক্স ইন ফ্যাশন: কমিউনিকেশন, কনজ়িউমারিজম অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি’, ‘ফ্যাশন অ্যান্ড বিজ়নেসেস’ বিষয়গুলিতে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে?

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাইয়ের প্রতিষ্ঠানগুলিতে উল্লিখিত বিষয়গুলি পড়ানো হয়ে থাকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে।

কী ধরণের বিষয় শেখানো হয়?

ফ্যাশন কমিউনিকেশন-সহ অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে একটি শিল্পকে বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্য কী ভাবে প্রচারে আলোয় রাখা যেতে পারে, কোন কোন বিষয় প্রচারের ক্ষেত্রে মাথায় রাখা দরকার, বাজারে কোন কোন ক্ষেত্রে ফ্যাশন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, বা হতে পারে, সেই সমস্ত বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হয়। খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ পড়াশোনার এই জগতে শিল্পকে সহজ ভাবে মানুষের কাছে কেমন করে পৌঁছে দিতে হয়, সেই সমস্ত কিছু শেখানো হয়ে থাকে।

কাজের সুযোগ কেমন?

ফ্যাশন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি সার্বিক ভাবে পড়ুয়াদের পেশাদার হিসেবে তৈরি করে দেয়। এর পর শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) হিসেবে কাজ করতে করতেই সুযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন পেশায়। জনসংযোগ আধিকারিক তথা পাবলিক রিলেশন অফিসার, ফ্যাশন জার্নালিস্ট, ব্র্যান্ড ম্যানেজার, ফ্যাশন শো প্রোডিউসার, মার্কেটিং অফিসার, এমনকী ফ্যাশন সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকতার সুযোগও রয়েছে।

তাই যদি প্রযুক্তির সঙ্গে ফ্যাশনের মেলবন্ধন আপনার আগ্রহের ক্ষেত্র হয়ে থাকে, সেইক্ষেত্রে ফ্যাশন কমিউনিকেশন বা সমতুল্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ তো রইয়েছে।পাশাপাশি, ফ্যাশন দুনিয়ার সেরা শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশের হাতছানি রয়েছে। তবে সবটাই পরিশ্রম, সৃজনশীলতা এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষা।

আরও পড়ুন
Advertisement