মাইক্রোস্কপ ব্যবহারের কৌশল শেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ। নিজস্ব চিত্র।
জৈব এবং অজৈব পদার্থের নমুনা থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয় ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ। বায়োলজি এবং মেটিরিয়াল সায়েন্সের বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত গবেষণার জন্য এই বিশেষ যন্ত্রের ব্যবহার জানা আবশ্যক। তাই এই যন্ত্র ব্যবহারের কৌশল এবং তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হাতে কলমে শেখাবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার (ইউএসআইসি)-র তরফে একটি কর্মশালার মাধ্যমে সাত দিনের বিশেষ ক্লাসে এই সমস্ত বিষয়গুলি পড়ানো হবে।
অনলাইনে এই কর্মশালায় যোগদান করার আবেদনের সংখ্যা ৩০র গণ্ডি পেরিয়ে গেলেও আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বাছাই পর্বে কাটছাট করতে হয়েছে। ২০১৯ থেকে মোট পাঁচ বছর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্মশালায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। চলতি বছরে ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়, পন্ডিচেরী বিশ্ববিদ্যালয়, আইএসআই ঝাড়খন্ড, আইআইটি গুয়াহাটি, বার্মিংহামের ইউনিভার্সিটি অফ আলবামা থেকেও প্রশিক্ষণ নিতে আসবেন।
হাতে কলমে অংশগ্রহণকারীদের মাইক্রোটম সেকশনিং, ড্রপ কাস্টিং টেকনিক, গ্রিড পিপ্রারেশনের মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলি শেখানো হবে। তাই থিয়োরি ভিত্তিক ক্লাসের সঙ্গে গবেষণাগারে যন্ত্রের সাহায্য দেওয়া হবে প্রশিক্ষণও। গবেষণামূলক কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য এই কর্মশালা বিশেষ ভাবে উপযোগী। কর্মশালার বিষয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ সায়েন্স সুনীল করফোর্মা আরও বলেন, “ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপির মতো উন্নতমানের যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণার কাজ দ্রুত শেষ করা যায় এবং নির্ভুল তথ্যও মেলে। অথচ, এই যন্ত্রচালনার জন্য যে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, তার সুযোগ সব ক্ষেত্রে উপলব্ধ নয়। পেশা প্রবেশের ক্ষেত্রেও এই প্রশিক্ষণ যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক।”
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ১১জন। কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন (সাবেক নাইসেড)-এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী অমরনাথ ঘোষ, টেকনিক্যাল অফিসার অর্পিতা সর্বজ্ঞ, আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক রাহুল মিত্র, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স (আইএসিএস)-এর টেকনিক্যাল অফিসাপ সুপ্রিয় চক্রবর্তী-সহ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকেরা ক্লাস নেবেন।
ওই সেন্টারের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শুভদীপ ভৌমিক জানিয়েছেন, এই কর্মশালা ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। যাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন, কিংবা গবেষণা করছেন, মূলত তাঁদের শেখাতেই এই কর্মশালাটি প্রতি বছর করানো হয়। তবে, অধ্যাপক, গবেষক, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত টেকনিশিয়ানরাও এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।