London Diary

লন্ডন ডায়েরি: ফ্রেডি মার্কিউরিকে রাজা বানিয়েছিল যে মুকুট

রাতারাতি তৈরি হয়ে গেল রত্নখচিত মুকুট। পশমের পাড়মোড়া লাল জোব্বার সঙ্গে বিমানে উড়ে এল প্যারিসে। সে সব চাপিয়ে ফ্রেডি স্টেজে উঠতেই ভক্তদের চিৎকার: ‘কিং ফ্রেডি’!

Advertisement
শ্রাবণী বসু
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ০৪:৪১
An image of London Diary

লন্ডন ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।

১৯৮৬ সাল। শুরু হতে চলেছে ‘কুইন’ রক ব্যান্ডের ম্যাজিক টুর। প্রধান গায়ক ফ্রেডি মার্কিউরি-র মনে হল তাঁর পারফরম্যান্সের মধ্যে কিছু খামতি আছে! সুইডেন থেকে ডেকে পাঠালেন কস্টিউম ডিজ়াইনার ডায়ানা মোজ়লিকে। “একটা চমক থাকা দরকার।” ডায়ানাকে বললেন তিনি, “একটা মুকুট আর জোব্বা... মন বলছে, তাতেই জমে যাবে।” রাতারাতি তৈরি হয়ে গেল রত্নখচিত মুকুট। পশমের পাড়মোড়া লাল জোব্বার সঙ্গে বিমানে উড়ে এল প্যারিসে। সে সব চাপিয়ে ফ্রেডি স্টেজে উঠতেই ভক্তদের চিৎকার: ‘কিং ফ্রেডি’! রক তারকার ব্যক্তিগত সংগ্রহের এমনই ১৫০০ সামগ্রী সদবি’জ় নিলামে উঠবে। নিলামে তোলার আগে সেগুলির প্রদর্শনী চলছে। প্রদর্শনীর কেন্দ্রস্থলে সেই মুকুট আর জোব্বা! প্রদর্শনীর সুবাদে আবার ফিরে এসেছে ফ্রেডির নিজস্ব জগৎটা। রয়েছে কেনসিংটনের বাড়িতে তাঁর চওড়া সোফা আর বার। এখানেই অতিথিদের নিয়ে পানভোজন করতেন তারকা। রয়েছে বাড়ির প্রাণকেন্দ্র— ফ্রেডির রান্নাঘর। আর সেই ইয়ামাহা পিয়ানোটা, যেখানে বোহেমিয়ান র‌্যাপসোডি ও অন্যান্য জনপ্রিয় গান বেঁধেছিলেন। তাঁর সংগৃহীত জাপানি অলঙ্করণ, পিকাসো, শাগাল, মায়রো-র ছবি, নিজের আঁকা ছবি, হাতে লেখা খসড়াখাতা, চটকদার কস্টিউম, কিমোনো সব নিলামে উঠবে। আশা করা হচ্ছে, মুকুটটা বিকোবে ষাট থেকে আশি হাজার পাউন্ডে। বার্নিশ করা ছোট্ট জাপানি চিরুনির পর্যন্ত দাম উঠবে ২০০-৩০০ পাউন্ড। এই প্রথম সদবি’জ় তাদের নিলামের আগে সামগ্রীগুলির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে। ফ্রেডি মার্কিউরি কি আর সাধারণ লোক? এত বড় রক তারকা! তাঁর টানে আজও থিকথিক করছে ভক্তদের ভিড়।

Advertisement
গায়ক: ফ্রেডি মার্কিউরি, প্রদর্শনীতে তাঁর লাল জোব্বা ও মুকুট।

গায়ক: ফ্রেডি মার্কিউরি, প্রদর্শনীতে তাঁর লাল জোব্বা ও মুকুট। —ফাইল ছবি।

মাটি দিয়ে গড়া

কোভিড লকডাউনের পরে জনসাধারণের জন্য ‘আর্ট ইনস্টলেশন’-এও পরিবেশকে বাঁচানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তাই, হাতে মাটির তাল নিয়ে তাকেই নানা আকার দিয়ে, যৌথ ভাবে একটি ইনস্টলেশন তৈরি করলেন কলকাতা ও কভেন্ট্রি শহরের শিল্পীরা। কোভিডকালে যাত্রা নাস্তি, তাই কলকাতার দোলন কুন্ডু অনলাইনেই মাটির ফুল বানানো শিখিয়ে দিলেন। প্রকল্পটিতে কভেন্ট্রি থেকে ছিলেন রেচেল চ্যাম্পিয়ন, এমি ও অলিভার টমাস-আরউইন, জিম উডঅল। প্রকল্প পরিচালনায় কলকাতার নন্দিতা পালচৌধুরী এবং কভেন্ট্রি থেকে লুসি টমলিনস। ইনস্টলেশনের বিষয়বস্তু ছিল, মাটির কাছাকাছি থেকে শিল্পসৃষ্টি করা। মাটি, জল, খড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে পাঁচ শিল্পী বিশাল এক দরজা তৈরি করেছেন। ঘাস, মাটি, খড় দিয়ে চাল ছাওয়ার প্রাচীন ব্রিটিশ কারিগরি আর খড়-মাটি দিয়ে কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কলাকে এক সুতোয় গেঁথেছে এই শিল্পকীর্তি। দুই সংস্কৃতির মধ্যে আচারবিচার, শস্যরোপণ, জীবনচক্র ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার সাদৃশ্যকে তুলে ধরেছে। ড্রামের বাজনায়, নৃত্যের ছন্দে ইনস্টলেশনটি যেন প্রাণ পেয়ে জেগে উঠেছিল। এই প্রথম বাঙালি শিল্পীদের কাজ দেখলেন কভেন্ট্রি শহরের বাসিন্দারা।

দূষণের বিরুদ্ধে

ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজ়নিল্যান্ডে সপরিবারে গরমের ছুটি কাটাচ্ছেন ঋষি সুনক। কিন্তু পরিবেশকর্মীরা তাঁকে এত সহজে মুক্তি দিলে তো! নর্থ সি-তে তেলের খোঁজে আরও ড্রিলিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তেল প্রকল্পে পরিবেশে যে ক্ষতি হচ্ছে, তার প্রতীক রূপে গ্রিনপিস সংস্থার পরিবেশকর্মীরা ইয়র্কশায়ারে সুনকের বাড়ির ছাদে উঠে তাঁর দু’মিলিয়ন পাউন্ডের প্রাসাদটি কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার বর্ম তাঁরা ভেদ করলেন কী ভাবেপ্র

প্রতিবাদ: প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ঢাকা হচ্ছে।

প্রতিবাদ: প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ঢাকা হচ্ছে। —ফাইল ছবি।

ওরা পাঁচ জন

ইনিড ব্লাইটনের লেখা জনপ্রিয় কিশোর অ্যাডভেঞ্চার ফেমাস ফাইভ অবলম্বনে আসছে বিবিসি-র টিভি সিরিজ়। দেখা যাবে ১৯৪২-৬৩’র মধ্যে লেখা ফেমাস ফাইভ সিরিজ়ের উপন্যাস ও ছোট গল্পগুলি। এই সিরিজ়ে ভাই-বোন জুলিয়ান, ডিক, অ্যানি আর তাদের তুতো বোন জর্জ এবং তার পোষা কুকুর টিমি ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্ধর্ষ সব অভিযানে। রহস্যের জট ছাড়ায়, স্মাগলারদের শায়েস্তা করে, গুপ্তধন খুঁজে আনে। তিন পর্বের সিরিজ়, প্রতিটি পর্ব ৯০ মিনিটের। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে শুটিং চলছে। এই এলাকা গুহা আর খাড়াই পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত। মূল কাহিনির সময়কাল সিরিজ়ে অপরিবর্তিতই থাকবে।

আরও পড়ুন
Advertisement