সতত-বিস্ফারিত নয়ন এবং জাঁদরেল গোঁফের অধিকারী যস্মিন দেশে যদাচারে বিশ্বাস করেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সেই সকালে থিম্পুর হোটেলের লবি খানিক আলুথালু। খানিক ব্যস্ত। খানিক ত্রস্তও বটে। স্বাভাবিক। ভুটান সফরে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সফরকে তিনি নিজে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তা সেই ঐতিহাসিক সফরে একটু পরেই মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ভুটানের রাজার সঙ্গে দেখা করতে। তাঁর সঙ্গে যাবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শীর্ষস্থানীয় আমলাদের অনেকে। প্রাতরাশ সেরে-টেরে তৈরি হয়ে তাঁরাও আস্তে আস্তে নামছেন হোটেলের লবিতে। প্রায় প্রত্যেকের পরনেই কালো বা গাঢ় নীল রঙের ‘বন্ধগলা স্যুট’। বিদেশে ভারতীয় আমলাদের বাঁধা পোশাক।
তাঁদের মধ্যেই দেখা গেল এক জনকে। দেখা গেল মানে না-দেখে উপায়ও ছিল না। কারণ, বঙ্গীয় (বা ভারতীয়) আমলা হলেও তাঁর পরনে ভুটানি পুরুষদের ঐতিহ্যশালী পোশাক ‘ঘো’ এবং ‘কিরা’। সম্ভবত সেই প্রথম তাঁর ‘হ্যান্ডল্বার’ গোঁফজোড়াকে হারিয়ে দিল তাঁর পরনের পোশাক। কৌতূহলের নিরিখে।
পোশাকের ব্যাপারটা যত সহজে খসখস করে লিখে ফেললাম, ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ তত সহজ নয়। ভুটানের ঐতিহ্যশালী পোশাক হওয়ার পাশাপাশিই ‘ঘো’ সে দেশের সংস্কৃতিরও পরিচায়ক। সবচেয়ে বড় কথা, ভুটানের আইন অনুযায়ী সেই দেশের সরকারি আধিকারিকদের ‘ঘো’ পরিধান বাধ্যতামূলক। এমনকি, ভুটানের রাজাও সরকারি বৈঠকে সেই পোশাকই পরে থাকেন। কিন্তু বহিরাগতদের পক্ষে সে জিনিস সামলানো যে-সে কাজ নয়। ‘ঘো’ হল আদতে মোটা রংচঙে কাপড়ে তৈরি একটা হাঁটুঝুল আলখাল্লার মতো। যেটা কোমর বরাবর একটা কাপড়ের চওড়া কোমরবন্ধ দিয়ে আঁটসাঁট করে বাঁধা। সে বেল্টের নাম ‘কিরা’। কিন্তু যেটা বাইরে থেকে চোখে পড়বে না। রঙিন কাপড়ে তৈরি ‘ঘো’-র হাতা দু’হাতের কনুই পর্যন্ত। কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত মোড়া সাদা রঙের হাতা দিয়ে। খোঁজ নিয়ে দেখিনি। কিন্তু সম্ভবত সেটাও একটা পুরোদস্তুর পোশাকই হবে। আলখাল্লার নীচে পরা। যার নাম ‘টেগো’। তার উপরে অনেকে আবার আড়াআড়ি একটা শালও ফেলে রাখেন। আপাতদৃষ্টিতে তিন অংশে বিভক্ত পোশাকটা সামলানো খুব কঠিন নয়। কিন্তু অনভ্যস্তদের একটু বাধো-বাধো তো লাগবেই। বিশেষত, পোশাকটা যখন মাত্রই হাঁটু পর্যন্ত। তার নীচে পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত নাইলনের মোজায় আবৃত। সঙ্গে বুটজুতো। যাঁদের অভ্যাস নেই, তাঁদের কাছে একটু বিড়ম্বনারও।
কিন্তু ‘ঘো’ এবং ‘কিরা’ পরিহিত তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, জন্ম থেকে ওটাই পরে আছেন! জলে মাছের মতো স্বচ্ছন্দ। চারদিকে লোকে কী বলছে, সহকর্মীরা পরস্পরকে ফিসফিসিয়ে কী বলছেন, তারিফ করছেন না খিল্লি, মুখ্যমন্ত্রী একঝলক দেখে ঠোঁট টিপে হাসছেন কি না, তা নিয়ে কোনও হেলদোলই নেই! তিনি দিব্যি তুরতুর করে হোটেলের লবিতে ঘুরছেন। সেই পোশাক পরেই তিনি অনায়াসে প্রায় সমস্ত সরকারি বৈঠকে অংশ নিলেন। কে কী বলল, থোড়াই কেয়ার! শুনলাম, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে যে ‘অ্যাডভান্স পার্টি’ গিয়ে গোটা বিষয়টা দেখাশোনা করে আসে (বাঘের আগে ফেউয়ের মতো), সেই প্রতিনিধিদলের সঙ্গী হয়ে গিয়ে আগেই ‘ঘো’ এবং ‘কিরা’র বরাত দিয়ে এসেছিলেন। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে গিয়েই ডেলিভারি নিতে পারেন।
সেই প্রথম অত কাছ থেকে আইএএস রাজীব সিংহকে দেখা। এবং বুঝে নেওয়া যে, এই সতত-বিস্ফারিত নয়ন এবং জাঁদরেল গোঁফের অধিকারী যস্মিন দেশে যদাচারে বিশ্বাস করেন।
অতঃপর রাজীব রাজ্যের মুখ্যসচিব হয়েছেন। কোভিডকালে তিনিই শীর্ষস্থানীয় আমলা হিসেবে প্রথম দিকে অতিমারি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর গিয়েছেন শিল্পোন্নয়ন নিগমে। ইদানীং তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এবং বিরোধীদের তোপের মুখে!
নির্বাচন কমিশনার হওয়ার আধ দিনের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন রাজীব। তার পরে যা-যা হওয়ার সবই হয়েছে। হচ্ছে। মানে আমাদের রাজ্যে যা-যা হয়ে থাকে ভোট ঘোষণার পর। পুজোর সঙ্গে উপচারের মতো। নৈবেদ্যের মতো। মঙ্গলঘটের উপর আম্রপল্লব এবং কাঁঠালি কলার মতো।
মঙ্গলবার যখন দেশের শীর্ষ আদালত রাজীবের অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের যুক্তি খারিজ করে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখছে, তখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়ায় রাজ্যে সাত (মতান্তরে পাঁচ) জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার ভিত্তিতেই বিরোধী দলনেতা আঙুল তুলে রাজীবকে ‘পেট ডগ’ বলছেন (মনে রাখতে হবে, নির্বাচন কমিশনার একটি সাংবিধানিক পদ)! কমিশনের দফতরে বাস-বোঝাই প্রার্থী আসছে। বিরোধীদের একাংশ অবস্থান-বিক্ষোভ করছে। তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন অশীতিপর বিমান বসু, তেমনই আছেন তরুণ নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু রাজীব অবিচল। অনড়। অটল। সন্ন্যাসীর মতো। উদাসীন। বিগতস্পৃহ। নির্মোহ।
মনে হচ্ছিল, ‘সিংহ’ হতে পারেন। কিন্তু করবেনই বা কী! রাজীব আসলে ভারতের রাজনীতিতে প্রতি দিন যা ঘটে চলেছে, তারই প্রতিভূ। আমাদেরই প্রতিভূ।
ইতিহাস বলছে, বাংলায় জাতিহিংসা হয় না। স্বাধীনতা-উত্তর পর্বে দাঙ্গাও খুব একটা হয়নি। কিন্তু ইতিহাস আরও বলছে, একটা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ গোটা দেশের মধ্যে বরাবর প্রথম সারিতে থেকেছে— রাজনৈতিক হিংসা। দূর অতীতে নকশাল আন্দোলন হিংসাদীর্ণ থেকেছে। স্বপ্ন থাকলেও। আদর্শ থাকলেও। নিকট অতীতে জমি আন্দোলনেও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। নন্দীগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তার আগেপিছে নানুর, ছোট আঙারিয়া, বগটুই... একের পর এক রাজনৈতিক হিংসা আর জীবনহানির ঘটনা ঘটেছে বাংলায়।
যে পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে হিংসা ঘিরে অধুনা এত আলোড়ন, এত তরঙ্গ এবং এত হিল্লোল উঠেছে চারদিকে যে, মনে হচ্ছে রাজ্যটা রসাতলে গিয়েছে, সেই নির্বাচনের তথ্য এবং ইতিহাস ঘেঁটে দেখছি, পশ্চিমবঙ্গে ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে নিহত হয়েছিলেন ৭৬ জন (তার মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদেই ৪৫ জন)। ২০০৮ সালে মারা গিয়েছিলেন ৩৬ জন। দু’টি ভোটই হয়েছিল বামফ্রন্টের রাজত্বে। তৃণমূল জমানায় ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন এবং ২০১৮ সালে ২৯ জন (তার মধ্যে একই দিনে ১৩ জন)। একটি মৃত্যুও হওয়া অনুচিত। প্রতিটি মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক এবং অনভিপ্রেত। কিন্তু শুকনো তথ্য বলছে, এ বছরে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা গত চারটি পঞ্চায়েত ভোটের (সময়কাল ২০ বছর) ধারপাশ দিয়ে যায়নি। এখনও পর্যন্ত।
মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস নিজেদের হিসেবমতো মোটামুটি সমস্ত জায়গাতেই প্রার্থী দিতে পেরেছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে একেবারে উপরে জেলা পরিষদ (আসন ৯২৮টি)। তার নীচে পঞ্চায়েত সমিতি (আসন ৯,৭৩০টি) এবং একেবারে নীচে গ্রাম পঞ্চায়েত (মোট আসন ৬৩,২২৯টি)। এই বিপুল সংখ্যক আসনে সারা রাজ্য জুড়ে প্রার্থী দিতে গেলে খুচখাচ ঝামেলা হবে না, সেটা হয় না। কিন্তু সমস্যাটা তার চেয়েও গভীরে। এবং ঐতিহাসিক। তথ্য এবং পরিসংখ্যানও তেমনই বলছে। বলছে, এই রাজনৈতিক হিংসা বাঙালির মজ্জাগত। এবং এই হিংসায় আমরা বিহার-উত্তরপ্রদেশকেও পিছনে ফেলে দিয়েছি! এই কিছু দিন আগে কর্নাটকে আস্ত বিধানসভা ভোট হল। যাতে সরকার বদলে গেল। কিন্তু ভোটপর্বে একটি দেশলাই কাঠি জ্বলেনি। একটি চড়ের শব্দও শোনা যায়নি।
তা হলে বাংলায় কেন হয়?
মাঝেমাঝে মনে হয়, এটা কি বাঙালির কাছে একটা বেশ লোভনীয় জিনিস? যে বাঙালি ভাল করে ইঞ্জেকশন নিতে পারে না (শরীরে ছুঁচ ফোটাতে হবে বলে উত্তর-আধুনিক কালে বাঙালির অন্যতম ‘বিগ্রহ’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টানা ১৭ বছর কোনও শারীরিক নিরীক্ষার মধ্যে যাননি), রক্ত-টক্ত দেখতে পারে না, হাত-পা কেটে গেলে বাবারে-মারে করে চেঁচায়, তারা কিন্তু বছরের পর বছর ভোটে রাজনৈতিক হিংসা দেখে! খুন দেখে! মারপিট দেখে! রক্তপাত দেখে!
কেন দেখে? কারণ, বাঙালি মনে করে উদ্গার না-উঠলে খাওয়াটাই সার্থক হল না। পেটুক বাঙালি মনে করে, পেটপুরে খেয়ে আইঢাই করতে করতে দু-চারটে তৃপ্তির ঢেকুর না-তুললে আর খাওয়া হল কিসের! আর গৃহকর্তা বাঙালি মনে করে, নেমন্তন্ন করলে একেবারে ফাঁসির খাওয়া খাওয়াতে হবে! খাইয়ে যদি না-মারতেই পারলাম, তা হলে কী আর খাওয়ালাম!
তেমনই বাঙালি ভাবে, ভোট হয়ে গেল আর দু-চারটে বোমা পড়ল না? চাট্টি ‘মেশিন’ বেরোল না? গোটা দশেক লাশ পড়ল না? তা হলে আর ভোট কিসের! সেই কারণেই কি হিংসা বাঙালির রাজনীতির অঙ্গ? আগে বাঙালির রাজনীতিতে একটা নিয়ন্ত্রণক্ষমতা ছিল ঠিকই। কিন্তু তখনও হিংসা ছিল। এখনকার মতো তখনকার রাজনীতিতে এত টাকা ছিল না। কিন্তু হিংসা আগাগোড়া ছিল। পেটরোগা বাঙালিই তো স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বন্দুক তুলেছিল। সূর্য সেন তো ‘মাস্টারদা’ই ছিলেন। কিন্তু সেটা ‘আমি কী পেতে পারি’র হিংসা নয়। বরং ‘আমি কী এনে দিতে পারি’র হিংসা। আদর্শকে ভিত্তি করে অন্যের জন্য সুদিন আনার সংগ্রামী হিংসা।
আর এখনকার বাংলায় ভোটের সময় ইশকুল মাস্টার, ডাক্তারবাবুরা সব মারকুটে লোকে পরিণত হন। যার মূল হচ্ছে— আমাকে পেতে হবে। একমাত্র আমাকেই পেতে হবে! সেই কার্যকারণবশত হিংসা। যেমন হয়েছিলেন মজিদ মাস্টার। যেমন হয়েছিলেন পেশায় মাস্টারমশাই তড়িৎ তোপদার। যাঁর নামে একদা ব্যারাকপুরে একঘাটে বাঘে-গরুতে জল খেত। যাঁর বাঘা গলা শুনলে আচ্ছা-আচ্ছা লোক কাপড় নষ্ট করে ফেলত।
রাজনৈতিক হিংসার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাকে কোনও মর্যাদা না দেওয়াটাও বোধহয় বাঙালির হাড়ে-মজ্জায় বসবাস করে।
প্রতি দিন সকালে অফিসে আসার পথে দেখি, সিগন্যালে লাল আলো জ্বলে উঠলে ৯৯ শতাংশ (বা তারও কিছু বেশি) গাড়ি রাস্তায় আঁকা সাদা স্টপলাইন অতিক্রম করে বা নিদেনপক্ষে তার উপরে গিয়ে দাঁড়ায়। আমি শৃঙ্খলা মেনে লাইনের আগে গাড়ি থামালে পিছনের গাড়ি অধৈর্য হয়ে প্যাঁ-প্যাঁ করে হর্ন দিচ্ছে, এমনও ঘটেছে। কেন, বুঝতে পারি না। এটা কি বোঝানো যে, আমি আসলে আইনের ঊর্ধ্বে? এক ধরনের দেখনদারি যে, আমি আইনটা মানছি। কিন্তু মানছিও না। স্টপলাইনটা পেরিয়ে যাচ্ছি না। কিন্তু বাঁধনটা, বারণটা, শাসনটা পুরোপুরি মানছিও না। যেটুকু মানছি, বাধ্য হয়ে মানছি। আসলে মানতে চাইছি না। তর্ক যেমন বাঙালির মজ্জায়, তেমনই সম্ভবত আইন না-মানাটাও বাঙালির মজ্জায়। বাঙালি ভাবে, আমরা সাংস্কৃতিক দিক থেকে উন্নত। আমরা শিক্ষাকে সম্মান করি। আমাদের মস্তিষ্ক আছে। অতএব তার আইন মানতে ঘোর বিতৃষ্ণা।
কারণ, আইন আসলে শৃঙ্খলার নামান্তর। যে, তুমি বাপু এই চৌহদ্দির মধ্যে থাকবে! তার বাইরে যাবে না। কিন্তু বাঙালি তো শৃঙ্খলায় আবদ্ধ থাকবে না। বাঙালিকে বেঁধেও রাখা যাবে না। আইনশৃঙ্খলার বেড়ায় তাকে আটকেও রাখা যাবে না। বাঙালি ভাববে, আমি আইনের ঊর্ধ্বে!
সেই বাঙালিই বোধহয় ভোটের সময় প্রতিপক্ষের বাড়ি গিয়ে শাসিয়ে আসে। সেই বাঙালিই নির্বাচনের আবহে আদর করে ট্রাউজ়ার্সের পকেটে নাইন এমএম পিস্তল ভরে রাখে। সেই বাঙালিই মাঠেঘাটে, রাস্তায়, গোয়ালে, ধানের গোলায় সুতলি বোমা রেখে দেয়। এট্টু মজা, এট্টু উত্তেজনা নইলে কি আর ভোট হয়!
ফলে পুজোর সঙ্গে কাঁঠালি কলার নৈবেদ্য চড়ছে। ইতিহাস তাঁকে কী ভাবে দেখবে, তা ভবিষ্যতের গর্ভে। আপাতত তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে বেধড়ক তামাশা আর মিম হচ্ছে (উদাহরণ: শুধু গোঁফ আর গোঁফ, তোমার মন নাই রাজীব!) ঠিকই, কিন্তু ‘সিংহ’ রাজীব এক অদৃশ্য ‘ঘো’ জড়িয়ে নিয়েছেন শরীরে। তিনি জানেন, যে যা-ই বলুক, যস্মিন দেশে যদাচার!