Arvind Kejriwal

শিশমহলের ফিসফিস, ব্র্যান্ড কেজরীর স্খলন এবং পতন

নিজেই নিজের ‘ব্র্যান্ড’ তৈরি করেছিলেন কেজরীওয়াল। নিজের সেই ‘ব্র্যান্ড’কে ডুবিয়ে ছাড়লেন তিনি নিজেই। নিজের চেষ্টায় যে ক্যারিশমা তিনি তৈরি করেছিলেন, সেটাও উধাও হয়ে গেল।

Advertisement
অনিন্দ্য জানা
অনিন্দ্য জানা
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৭
Poster boy of honesty to power tripped politician: the rise & fall of Arvind Kejriwal

হারিয়ে গেল তাঁর অর্জিত বিশ্বাসযোগ্যতা। ছবি: পিটিআই।

কোনও দিন সে ভাবে কথা হয়নি। দেখাও হয়নি। মানে যাকে প্রাজ্ঞজনেরা মোলাকাত বলেন। তবে সামনে থেকে দেখেছি। খানিক গা-ঘষাঘষিও হয়েছিল এক বার। সংসদ ভবনে তৃণমূলের দফতরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লিতে তখনও বেশ শীত। তার কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। ঘরে ঢুকে এ দিক-ও দিক দেখতে দেখতে আলগোছে এসে বসলেন, কী আশ্চর্য, আমারই পাশের চেয়ারে!

Advertisement

মাথায় আন্দোলনকালের গান্ধীটুপিটা ছিল না শুধু। বাকি সব ঠিকঠাক। আটপৌরে ধূসর ট্রাউজ়ার্স আর সর্ষে রঙের পুরোহাতা পুলওভার। গলায় প্যাঁচানো বিখ্যাত ধুসো কম্ফর্টার। পায়ে ‘কিটো’ চপ্পল। চোখে রিমলেস চশমা। চকচকে কামানো গাল। ঝুঁপো গোঁফ। মুখে একটা বিগলিত এবং দেঁতো হাসি।

দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী তত দিনে মেট্রো চেপে সচিবালয়ে গিয়ে হইচই বাধিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দুর্নীতি-বিরোধী ধর্মযুদ্ধ হু-হু করে স্বপ্ন বিকোচ্ছে জনমানসে। সারা দেশে একটা আশার আলোই জ্বেলে দিয়েছেন প্রায়। সেই আলোর বিচ্ছুরণে চোখে ঝিলমিল লেগে গিয়েছে সহ-নাগরিকদের। শহুরে এবং শিক্ষিত লোকজন (যাঁরা রাজনীতিকে পাঁকে-ভরা ডোবা ভাবেন। কিন্তু সমাজসংস্কার করতে চান। পারলে এনজিও-তে যোগ দিয়ে) খুব সিরিয়াসলি ভাবছেন, কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টিতে নামটা লিখিয়েই ফেলবেন কি না।

তিল পরিমাণ ঘরে পাশের চেয়ারে দীনহীন ভাবে বসে থাকা লোকটাকে দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল, উরেব্বাস! খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন ছাত্র এবং ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পাওয়া এই লোকটাই ঝেঁটিয়ে দুর্নীতির পাপ বিদেয় করছে? এই লোকটাই অণ্ণা হজারের শিষ্য? শাহি দিল্লির ইতিহাসে দ্বিতীয় তরুণ মুখ্যমন্ত্রী (তখন তিনি বেয়াল্লিশ-তেতাল্লিশ) এই লোকটাই?

কেজরীওয়াল যখন খুব মন দিয়ে মমতার কথা এবং তৃণমূলের সংসদীয় দলের মধ্যে সেই কথার বুদ্বুদের বুড়বুড়ির প্রতি উৎকর্ণ, তখন তাঁকে আড়চোখে জরিপ করার চেষ্টা করছিলাম। মুশকিল হল, একেবারে পাশের চেয়ারে কেউ থাকলে দেখার অ্যাঙ্গলটা সঙ্কুচিত হয়ে আসে। যেমন দক্ষ গোলরক্ষক ‘ওয়ান-টু-ওয়ান সিচুয়েশনে’ গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে আগুয়ান ফরওয়ার্ডের গোল লক্ষ্য করে শট নেওয়ার কোণটা ছোট করে দেন। ঠিকঠাক মাপা যায় না। তবু স্কোরারকে চেষ্টা তো করতে হয়। তেমনই একটা প্রয়াসে ব্রতী হলাম।

তার আগে কেজরীওয়াল মই বেয়ে ল্যাম্পপোস্টে উঠে ইলেকট্রিকের তার জোড়া-সহ আরও বিবিধ কাণ্ডকারখানা করে বসে আছেন। আম আদমির ভিড় থেকে উঠে আসা কেজরীওয়ালকে ঘিরে গোটা দেশ উদ্বেল। ভাবছে, এই লোকের নির্মল করস্পর্শে একদিন সব মালিন্য মুছে যাবে। সব মঙ্গলময় হয়ে উঠবে। মোহ-বাসনা ঘুচিয়ে দেওয়ার কিরণ ছড়িয়ে পড়বে আসমুদ্রহিমাচল। ভক্তেরা তাঁকে ‘নায়ক’ ছবির অনিল কপূরের চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন আখ্যান ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন। বদলে-যাওয়া রাজনীতির ব্র্যান্ডদূত হয়ে অপার ভক্তির সাগরে ভাসছেন কেজরীওয়াল। সেই ভক্তি এতটাই যে, তিনি গলায় মাফলার না-জড়ালে দিল্লিতে নাকি ঠান্ডা পড়ে না!

ওই এক বারই। তার পরে আর কেজরীওয়ালকে চর্মচক্ষে দেখা হয়নি। কথা তো নয়ই। তবে দিল্লিবাসী পরিচিতদের কাছ থেকে শুনতাম, মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের মহল্লা ক্লিনিক সাড়া ফেলেছে রাজধানীতে। বস্তিতে বস্তিতে তাঁর ইস্কুলও পছন্দ করছেন দিল্লির ঝুপড়িবাসীরা। ঠিকই। নইলে কি তাঁকে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে ফেরায় নয়াদিল্লির জনতা? অথবা কেজরীওয়ালের আপকে তাঁদের শাসন করার জন্য বেছে নেন পঞ্জাববাসী?

নিজেই নিজের ‘ব্র্যান্ড’ তৈরি করেছিলেন কেজরীওয়াল। যে ‘ব্র্যান্ড’ বাজারচলতি রাজনীতিকের চেয়ে অনেক বেশি সমাজনীতিকের। কিন্তু নিজের সেই ‘ব্র্যান্ড’কে ডুবিয়ে ছাড়লেন তিনি নিজেই। তাঁকে ঘিরে একটা নৈতিক বিভা বিরাজ করত। সেটা হারিয়ে গেল। তার সঙ্গে হারিয়ে গেল তাঁর অর্জিত বিশ্বাসযোগ্যতা। নিজের চেষ্টায় যে ক্যারিশমা তিনি তৈরি করেছিলেন, সেটাও উধাও হয়ে গেল। পুলওভারের উপরে চেপে বসল ডিজ়াইনার ফেদার জ্যাকেট। বুশ শার্টের বুকপকেটে গুঁজে-রাখা দু’টাকার ডটপেন ছেড়ে গেল তাঁকে। ছেড়ে গেল পায়ের ‘কিটো’। তাঁর ‘মসিহা’ ভাবমূর্তির উপরে চেপে বসল পেশাদার এবং ধূর্ত রাজনীতিকের পুরু আস্তরণ। যে লোকটা ২০১৩ সালে হলফনামা পেশ করে জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকারি গাড়িও ব্যবহার করবে না, সেই লোক আটখানা সরকারি বাংলো ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে ৩৩ কোটি টাকা দিয়ে ‘শিশমহল’ বানিয়ে ফেলল।

‘শিশমহল’। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাস। যা বানানোর আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। দরপত্র ছিল ৮.৬২ কোটির। তখন থেকেই কি গুবলু শুরু হয়েছিল? নইলে যেখানে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সাড়ে ৮ কোটির কিছু বেশির দরপত্রে, সেখানে শেষমেশ খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩ কোটি? প্রায় চার গুণ!

Poster boy of honesty to power tripped politician: the rise & fall of Arvind Kejriwal

১) কেজরীর তৈরি শিশমহল। ২) শিশমহলের অলিন্দ। ৩) ১৮ লাখি জিমন্যাশিয়াম। ৪) বিলাসবহুল প্রেক্ষাগৃহ তথা বৈঠককক্ষ। ছবি: এক্স।

ক্যাগ রিপোর্টে কেজরীওয়ালের ‘শিশমহল’ সাজানোর খরচের যে ‘ব্রেক আপ’ দেওয়া হয়েছে, অবিশ্বাস্য! ১১টি টেলিভিশন সেট কেনার খরচ ৭০ লক্ষ টাকা। জিমন্যাশিয়াম এবং শরীরচর্চার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার খরচ ১৮ লক্ষ টাকা। জ্যাকুজ়ি, সওনা এবং স্পা বাবদে খরচ করা হয়েছে সাড়ে ১৯ লক্ষ টাকা। ইংরেজি ‘এল’ আকৃতির সোফা তৈরি করা হয়েছে ৮.৪ লক্ষ টাকার। রান্নাঘরের জিনিসপত্র কিনতে ৩৯ লক্ষ টাকা। মিনি বার তৈরি করা হয়েছে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ খরচ গোটা বাড়ির পর্দা লাগানোর জন্য— ৯০ লক্ষ টাকা! ওহ্, বাহ্যে যাওয়ার জন্য সোনার পাত বসানো কমোডও আছে।

বলা হয়, একটা মানুষ আসলে কেমন, সেটা বোঝার জন্য তার ভিতরে খানিকটা ক্ষমতা পুরে দাও। তার পরে দেখো, সেই ক্ষমতা তার মাথায় ওঠে কি না। ক্ষমতার আগুন যত দাউ দাউ করে জ্বলবে, তত বেশি করে সেই আগুনে তার ভিতরের সহমর্মিতা বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে। ক্ষমতার গুমোর যত বাড়বে, তত বেশি শুভানুধ্যায়ী ক্ষয়ে যাবে।

কেজরীওয়াল সেটা হাড়েমজ্জায় প্রমাণ করে ছাড়লেন। যাঁদের সঙ্গে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন, একে একে সেই কুমার বিশ্বাস, দেবেন্দ্র যাদব, আশুতোষের মতো সঙ্গীরা তাঁর থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিলেন। ২০০৬ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে কাজ-করা আপ-এর রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (যিনি অনেক দিন ধরে ঘোষিত কেজরীওয়াল-বিরোধী। কারণ, কেজরীওয়াল নাকি তাঁকে নিজের দফতরে ডেকে গুন্ডা দিয়ে পিটিয়েছিলেন) সম্প্রতি একটি পডকাস্টে বলেছেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগে উনি অন্য রকম ছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বদলে গেলেন। আর পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় আসার পর ওঁর মাথাটা পুরোপুরি ঘুরে গেল!’’ স্বাতীর দাবি, কেজরীওয়াল সব সময় চেয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে। তার চেয়ে কম কিছু নয়। তিনি জানিয়েছেন, কেজরীওয়ালের মতো এমন ক্রোধোন্মত্ত মানুষ তিনি তাঁর ৪১ বছরের জীবনে দেখেননি। স্বাতীর কথায়, ‘‘এটা সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েই বলছি। ওঁর মধ্যে যে ক্রোধ আছে, সেটা ২০০৬ সাল থেকেই দেখেছি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সেটা চরম পর্যায়ে গিয়েছিল। উনি যখন রেগে যান, তখন ওঁর সামনে থাকলে অন্তরাত্মা পর্যন্ত কেঁপে ওঠে! জিনিসপত্র ভাঙচুর, ফাইল ছুড়ে ফেলে দেওয়া, কুৎসিততম ভাষায় কটূক্তি করা ওঁর কাছে জলভাত।’’

এই বর্ণনার সঙ্গে ১৪ বছর আগে পাশের চেয়ারে গুটিয়ে বসে থাকা লোকটাকে মেলাতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, কেজরীওয়াল একটা স্বয়ংশাসিত, স্বয়ংলিখিত পবিত্র বিবৃতির মতো হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির দস্তাবেজে। সেই বিবৃতিকে ছেঁড়া পোস্টারের মতো পায়ে মাড়িয়ে গেলেন তিনি। মনে হচ্ছিল, কেজরীওয়ালের দলকে লোকে ভারতীয় গণতন্ত্রের মন্দির ভাবত। কিন্তু মন্দিরকে দোকান বানিয়ে দিলেন কেজরীওয়াল। আর তিনি নিজে পূজারি থেকে দোকানি হয়ে গেলেন। যিনি বলেন, ‘‘এই তো সব ফ্রি করে দিয়েছি! বিদ্যুৎ বিনাপয়সার। দিল্লির বাসে মহিলাদের যাতায়াত ফ্রি!’’ এ তো একেবারে দোকানদারের ভাষা। যে, আমার দোকানে এসো। আমি অমুক অমুক জিনিস দিচ্ছি তোমায়। দোকানি বা বেচু (গৌরবার্থে সেলস্‌ম্যান) না হলে কেউ এ ভাবে কথা বলে?

দিল্লির নির্বাচনের আগে কয়েকটা পডকাস্টে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, ক্ষমতার ইঞ্জেকশন তাঁর শিরা-ধমনীতে ছড়িয়ে পড়েছে। সমস্ত নির্মোক খসে পড়েছে। লোকটা ‘পাওয়ার ট্রিপ’-এ চলে গিয়েছে। এই লোক তীক্ষ্ণ প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে সময় খেতে থাকে। কথা গোল গোল ঘোরাতে থাকে। প্রশ্নকর্তা পয়েন্টে আসতে চাইলেই ক্ষমতার ভাষা বলতে শুরু করে। চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়। কাঁচাপাকা গোঁফের তলার ঠোঁটজোড়া ফাঁক হয়ে হিসহিসে আওয়াজ বেরোয়, ‘‘মুখ দেখেই বোঝা যায়, আপনি বড়লোক। আপনি আর গরিবের কথা কী ভাববেন!’’ কখনও প্রশ্নকর্তাকে থামিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে। তার পরে নিদান দেয়, ‘‘মাঝখানে থামাবেন না। আপনি তো লেখাপড়া করা মানুষ। অন্তত এটুকু ভদ্রতা তো দেখান!’’ বলে, ‘‘জেল থেকে বাইরে আসার পর আমার ইস্তফা দেওয়ার কোনও কারণ ছিল না। তবু ইস্তফা দিয়েছি। কারণ, আমি মনে করি, জনতা চাইলে তবেই আমি আবার মুখ্যমন্ত্রী হব। আর জনতা তো আমাকেই চাইবে।’’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হল, যমুনা নদীকে দূষণমুক্ত করার কাজে গত ১০ বছরে ৭,০০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে সরকারের। তা-ও যমুনার জল এখনও বিষবৎ কেন? কেজরীওয়াল রুখে উঠলেন, ‘‘কে বলেছে? সব বকোয়াস!’’ অতঃপর একটু গলা নামিয়ে, ‘‘এটা ঠিক যে, দূষণের সমস্যাটা এখনও পুরো মেটাতে পারিনি। পরের মেয়াদে ঠিক করে ফেলব।’’

তিনি কি সত্যিই বদলে গিয়েছেন?

রুখে উঠলেন কেজরীওয়াল, ‘‘আমি একটুও বদলাইনি। এখনও আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস এই দেশের জন্য। কিন্তু কংগ্রেস-বিজেপি ক্রমাগত আমার উপর জঞ্জাল ফেলছে। ভারতের ইতিহাসে এত বড় রাজনৈতিক আক্রমণ আর কারও উপর হয়নি। কারণ, আমরা দেশকে যে রাজনীতিটা দিতে চাইছি, কংগ্রেস-বিজেপির সেটা মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই। তাই ওরা ক্রমাগত জঞ্জাল ছুড়ে মারছে। এত জঞ্জাল ছুড়লে কিছু না কিছু তো গায়ের সঙ্গে লেপ্টেই যাবে।’’

কিছু জঞ্জাল লেপ্টেই যাবে? বলেন কী!

দিল্লির ভোটে কেজরীওয়ালের পতনের পরে তাঁর গত ১৩-১৪ বছর রিওয়াইন্ড করে দেখছিলাম। শেষের কয়েক বছরে তাঁর চরিত্র যে মোচড় নিয়েছিল, জেফ্রি আর্চারের ছোটগল্পের মতো। মনে হচ্ছিল মাথার গান্ধীটুপি, গলার কম্ফর্টার, পায়ের কিটো বোধহয় এক ছলনা ছিল। দিল্লির জনতা যা দেখে বোধভাস্যি হারিয়ে ফেলেছিল।

আসলে আমরা কাঠ বলদের দল! বাঁদরের হাতে তরোয়াল দিলে সে মানুষই কাটে। কিন্তু বাঁদর জেনেও যারা তরোয়ালটা এগিয়ে দিয়েছিল, তাদের মূর্খামির দায়টাও ঢাকা যায় না!

Advertisement
আরও পড়ুন