Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: রাজনীতির ময়দানে সচিন-পুত্র আরান?

আরান এখন দিল্লির দ্বারকা ফুটবল ক্লাবে চুটিয়ে ফুটবল খেলছেন। দিল্লির ফুটবল লিগের বি ডিভিশনে ক্লাবের গোলকিপার হিসেবে তাঁকে ময়দানে দেখা যায়।

Advertisement
অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ ০৫:২০
দিল্লি ডায়েরি।

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল চিত্র।

রাজনীতিতে নামার আগে রাজেশ পাইলট ছিলেন বায়ুসেনার বিমানচালক। সে কারণেই রাজেশ বিধুরি থেকে তাঁর নাম হয়েছিল রাজেশ পাইলট। ছেলে সচিন পাইলট কিছু দিন বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করলেও পরে বাবার পথে হেঁটেই পুরোপুরি রাজনীতিতে নামেন। কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লার মেয়ে, ওমরের বোন সারা তাঁর স্ত্রী। দুই ছেলে, আরান ও বিহানকে নিয়ে সুখের সংসার। আরান এখন দিল্লির দ্বারকা ফুটবল ক্লাবে চুটিয়ে ফুটবল খেলছেন। দিল্লির ফুটবল লিগের বি ডিভিশনে ক্লাবের গোলকিপার হিসেবে তাঁকে ময়দানে দেখা যায়। সচিন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদের জন্য অশোক গহলৌতের সঙ্গে লড়ছেন। আগামী বছর রাজস্থানের ভোটে বিজেপিকে টক্কর দিতে মাঠে-ময়দানে ঘুরছেন। সম্প্রতি গোবর্ধন পুজোর অনুষ্ঠানে আরানকে বাবার পাশে দেখা গিয়েছে। ভবিষ্যতে কি আরান পাইলট রাজনীতির ময়দানে বাবার গোলপোস্ট রক্ষা করবেন? আরান শুধু বলছেন, বাবা ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে সে দিন খুব মজা হয়েছে। অনেকে আশীর্বাদ করেছেন। আপাতত এইটুকুই।

Advertisement
আত্মজ: গোবর্ধন পুজোয় ছেলে আরানের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট।

আত্মজ: গোবর্ধন পুজোয় ছেলে আরানের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট।

নেতাজির স্মৃতিতে

সম্প্রতি দিল্লির ইন্ডিয়া গেট চত্বরে মোদী সরকার নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসিয়েছে। তার আগে নেতাজির হলোগ্রামের জ্বলা-নেবা নিয়ে চলেছে বিতর্ক। কিন্তু নির্জন লুটিয়েন্সের দিল্লির নয়নশোভন অজস্র বাংলোয় অথবা পথঘাটে সুভাষচন্দ্র বসুকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ এই চত্বরেই স্বাধীন ভারতের নীতি নির্ধারক, বিচারকদের বাসভবন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অফিস। ব্যতিক্রম, সংসদ ভবনের অদূরে ৭ নম্বর মহাদেব রোড। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের সরকারি বাসভবন। ১১ বছর ধরে এই বাড়ির দরজায় নেতাজির চারটি ছবি উজ্জ্বল। রাতেও সেখানে আলো জ্বলে। প্রত্যেক ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন পালিত হয় শীতবস্ত্র বিতরণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে। এ বছর ২১ অক্টোবর পালিত হয়েছে আজ়াদ হিন্দ সরকারের ৮০তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সর্বদলীয় সাংসদদের মধ্যে সুভাষ-স্মৃতিতে এমন শ্রদ্ধার্ঘ্য বিরল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা

এক বছরের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী জি-২০’র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাচ্ছে ভারত। রাজধানী তথা দেশের গোটা কূটনৈতিক মহলই যজ্ঞিবাড়ির চেহারা নিতে চলেছে! কুড়িটি দেশের নেতা, মন্ত্রী আমলাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশে বছরভর অজস্র ইভেন্ট, ১ ডিসেম্বর থেকে। কর্তাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধের জোগাড়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া মোহিত ইন্দোনেশিয়ার ব্যবস্থাপনায়। সেখানকার জি-২০ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে মুগ্ধ মাণ্ডবিয়ার দাবি, অন্তত স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সম্মেলনগুলিতে তেমনটাই চাই। ইন্দোনেশিয়া যে ভাবে প্রতি পদে দেশজ সংস্কৃতির প্রদর্শনী করেছে, এখানেও মন্ত্রকের কর্তাদের তাই করার নির্দেশ দিয়েছেন মাণ্ডবিয়া। সেই সঙ্গে বলেছেন, জি-২০ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন দিল্লির বাইরে রাখতে। আপাতত গান্ধীনগর এবং বারাণসীর মধ্যে যে কোনও একটি জায়গার কথা ভাবা হচ্ছে।

ক্যান্টিনের ভোলবদল

২৪ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের ক্যান্টিনেরও এত দিন রাজনীতিতে কংগ্রেসের মতোই বেহাল দশা ছিল। গোটা দেশ থেকে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা এই ক্যান্টিনে চা, জলখাবার খেতে ঢুঁ মারেন। মধ্যাহ্নভোজনও সারতে হয়। কিন্তু ক্যান্টিনের নোংরা, বেহাল দশা দেখে অনেকেই মনঃকষ্টে ভুগতেন। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করায় নেতা-কর্মীরা ফের চাঙ্গা। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন ঘিরে আয়োজনেও উৎসাহ ফিরেছে। এরই মধ্যে মলিন ক্যান্টিন ঝাঁ-চকচকে করে সাজানো হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী থেকে নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যদের হরেক ছবি দিয়ে ক্যান্টিনের দেওয়াল মুড়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের কর্মীরা রাজীব বা রাহুল গান্ধীর ছোটবেলার ছবির পাশে বসেই দোসা বা আলু বোন্দায় কামড় বসাচ্ছেন।

নবরূপ: কংগ্রেস দফতরের ক্যান্টিন

নবরূপ: কংগ্রেস দফতরের ক্যান্টিন

হাজিরায় কড়াকড়ি

কাজের চাপে মাঝেমধ্যেই গরহাজির থাকলেও, নরেন্দ্র মোদীর পাখির চোখ সংসদ। কড়া নজর রেখে চলেন অধিবেশনে দলীয় সাংসদদের উপস্থিতির দিকে। সম্প্রতি দুই কক্ষেই বিজেপি সাংসদদের কম হাজিরার ঘটনায় অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী। তার পরই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টিতে নির্দেশিকা জারি করেছে। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিজেপির কত জন সদস্য উপস্থিত থাকেন, নজর রাখা হচ্ছে। দুই কক্ষের সচিবালয়কেই এই নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এ বিষয়ে সংসদের ভিতরে কড়াকড়ি বাড়াবে দলীয় নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন
Advertisement