—প্রতীকী ছবি।
বড়দিনের আগে বাজারে শনির দশা! নেমেই চলেছে স্টকের সূচক। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। নিফটি নেমেছে সাড়ে ৩০০ পয়েন্টের বেশি। এই নিয়ে টানা পাঁচ দিন সূচক নিম্নমুখী থাকায় লগ্নিকারীদের মাথায় হাত। বছর শেষে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা লোকসানের ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে তাঁদের।
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর দিন শেষে ৭৮,০৪১.৫৯ পয়েন্টে গিয়ে থামে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক। সেনসেক্সে মোট ১,১৭৬.৪৮ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। শতাংশের হিসাবে এটি ১.৪৯। বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ৭৯,২১৮.০৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছিল সেনসেক্স। এ দিন ৭৯,৩৩৫.৪৮ পয়েন্টে শুরু হয় এর দৌড়। তবে দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ৭৭ হাজারে নেমে গিয়েছিল বিএসইর সূচক।
অন্য দিকে নিফটি কমেছে ১.৫২ শতাংশ। অর্থাৎ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) ৩৬৪.২ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ২৩,৫৮৭.৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে নিফটি। বৃহস্পতিবার ২৩,৯৫১.৭০ পয়েন্টে বন্ধ হয় এই বাজার। এ দিন এনএসই খোলে ২৩,৯৬০.৭০ পয়েন্টে।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬৩টি শেয়ারের। অন্য দিকে দর পড়েছে ২,৮৫৯টি স্টকের। ৯৫টি শেয়ার অপরিবর্তিত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে সব মিলিয়ে চার হাজার পয়েন্টের বেশি নেমেছে সেনসেক্স। অন্য দিকে প্রায় ২০০ দিন পর ফের ২৩,৭০০ পয়েন্টের নীচে চলে গেল নিফটি।
এনএসইতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে ট্রেন্ট, টেক মাহিন্দ্রা, এম অ্যান্ড এম, ইন্ডাসইণ্ড ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের স্টকে লগ্নিকারীদের। তবে লাভের মুখ দেখেছেন ডক্টর রেড্ডিস্ ল্যাবস্, নেসলে ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি লাইফ এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারহোল্ডাররা। ক্যাটেগরি ভিত্তিক সমস্ত ক্ষেত্রের স্টক লাল জ়োন শেষ করেছে। রিয়্যাল এস্টেট সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচক নেমেছে চার শতাংশ। পাশাপাশি দু’শতাংশ দাম পড়েছে গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্যাপিটাল গুডস্, সংকর ধাতু, টেলিকম এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের।
শেয়ার বাজারের এই পতনের জন্য আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজ়ার্ভ’-এর সুদের হার কমিয়ে দেওয়াকে দায়ী করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। এর জেরে ভারতীয় টাকার নিরিখে অনেকটাই বেড়েছে ডলারের দাম। আর তাই বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন। দ্রুত এই অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনার কম বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষেকরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)