রঘুরাম রাজন। —ফাইল চিত্র।
লাগাতার নেমে সম্প্রতি ডলারের নিরিখে সর্বনিম্ন হয় টাকা। এক ডলার ৮৬.৭০ টাকা ছোঁয়। এ নিয়ে বিরোধীরা যখন কেন্দ্রকে দুষছেন, তখনই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন জানালেন, টাকার এমন পতনে তিনি উদ্বিগ্ন নন। কারণ, এটা শুধুমাত্র ডলার চাঙ্গা হওয়ার ফল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাজন মোদী সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তাঁর বক্তব্য কেন্দ্রের হাতে নতুন অস্ত্র জোগাল। তবে দু’দিন অল্প ওঠার পরে বৃহস্পতিবার ফের পড়েছে টাকা। ডলারের দাম ২১ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৬.৬১ টাকা।
এক সাক্ষাৎকারে রাজন বলেন, ‘‘মুদ্রার শক্তি নিশ্চিত ভাবেই টাকা-ডলারের সম্পর্কের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হয়। তবে বাস্তব হল, অনেক দেশের মুদ্রার নিরিখেই ডলার শক্তি বাড়িয়েছে। ডলার এবং ইউরোর সম্পর্ক দেখুন, গত বছরের শুরুতে ১ ডলারে ৯১ সেন্ট কেনা যেত। এখন যায় ৯৮ সেন্ট। অর্থাৎ, ইউরোর দাম ৬%-৭% কমেছে। ডলারের দাম ৮৩ থেকে ৮৬ টাকার ঘরে পৌঁছনো বরং তুলনায় কম।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে কী পদক্ষেপ করেন সে সম্পর্কে অনেক আলোচনা চলছে। একাংশের ধারণা, তাঁর আমলে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। সেই প্রত্যাশাও ডলারের পোক্ত হওয়ার বড় কারণ। ট্রাম্পের নীতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এই দোলাচল থাকবে। টাকার পতন ঠেকাতে সব ক্ষেত্রে শীর্ষ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপেরও বিপক্ষে রাজন।
তাঁর বক্তব্য, টাকার কিছুটা অবমূল্যায়ন রফতানির পক্ষে ভাল। সত্যি বিশ্ব জুড়ে আমদানি শুল্ক বাড়লে টাকার দাম কমাই দেশের রফতানি বাণিজ্যকে রক্ষা করবে।