Indian Railways

Indian Railways: ট্রেনে ঘুমনোর অনেক নিয়ম ভারতে, না মানলে জড়াতে হবে বিচ্ছিরি ঝঞ্ঝাটে

শোওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে ভারতীয় রেলের পক্ষে। সেটা না জানা থাকলে সহযাত্রীদের সঙ্গে বিচ্ছিরি ঝঞ্ঝাটে জড়াতে হতে পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫২
দিনে ঘুমনো খুবই মুশকিলের।

দিনে ঘুমনো খুবই মুশকিলের। প্রতীকী চিত্র

ট্রেনে উঠলেই ঘুম পায় অনেকের। লোকাল ট্রেনে দিনের যে কোনও সময় ঢুলে ঢুলে ঘুমনোয় কোনও বাধা নেই কিন্তু দূরপাল্লায় ঘুমের নিয়ম আছে। সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে ভারতীয় রেলের পক্ষে। আর সেটা না মানলে জরিমানা হয়ত দিতে হবে না কিন্তু সহযাত্রীদের সঙ্গে বিচ্ছিরি ঝঞ্ঝাটে জড়াতে হতে পারে।

রেলের যা নিয়ম তাতে দিনের বেলায় ঘুমের সুযোগই নেই। তাই বলে কি দুপুরে ঘুমনো যায় না! যেতেই পারে কিন্তু সেক্ষেত্রে কোন বগির একটি কুপের সকলকেই শুয়ে পড়তে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জোর করা যায় না। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত স্লিপার ক্লাসের কোনও বার্থ শোওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায়। এসি থ্রি টিয়ার বগির ক্ষেত্রেও নিয়ম এক। আগে রাত ৯টায় শোওয়া গেলেও ২০১৭ সালে নিয়ম বদলে হয়ে যায় রাত ১০টা।

Advertisement

যাত্রীদের জেনে রাখা দরকার রাত ১০টার পরে টিকিট পরীক্ষকও বিরক্ত করতে পারেন না। টিটিই (ট্রাভেল টিকিট এগজামিনার)-দের উপর নির্দেশ থাকে যাতে টিকিট পরীক্ষার কাজ তাঁরা রাত ১০টার মধ্যে মিটিয়ে ফেলেন। তবে রাত ১০টার পরে যে ট্রেন ছাড়ছে বা যাত্রীরা ট্রেনে উঠছেন তাঁদের ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষার এই সময়সীমা কার্যকর নয়।

দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার সময়ে সবচেয়ে সমস্যা হয় মিডল বার্থের যাত্রীদের। লোয়ার বার্থের যাত্রী ঘুম থেকে উঠে পড়লে তাঁদেরও নেমে পড়তে হয়। চোখে ঘুম লেগে থাকলেও। আবার সারাদিনে লোয়ার বার্থের যাত্রীরা না শুলে মিডল বার্থে বিছানা পাতাই সম্ভব নয়। সেই দিক থেকে অবশ্য আপার বার্থের যাত্রীদের কোনও চিন্তা থাকে না। ঘুম পেলেই ঘুমনো যায়। একই ব্যাপার সাইড আপার বার্থের ক্ষেত্রেও। তবে সাইড লোয়ার বার্থে সেই স্বাধীনতা নেই।

ভারতীয় রেলে ঘুমানোর যে নিয়ম তাতে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সাইড আপার বার্থের যাত্রী লোয়ার বার্থে বসার দাবি করতে পারেন না। সাইড আপার ও লোয়ার বার্থে আরএসি-তে যাঁদের টিকিট থাকে তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাইড আপার বার্থের যাত্রীরা চাইলে লোয়ার বার্থে বসতে দিতেই হবে।

রেলের ঘুমনোর এই নিয়মে অবশ্য কোথাও জরিমানার কথা বলা নেই। কেউ মানা বা না মানা সবটাই নির্ভর করছে সহযাত্রীদের সঙ্গে বোঝাপড়ার উপরে। তবে রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, অসুস্থ ব্যক্তি, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং অন্তঃসত্ত্বার ক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা মতো বাকি যাত্রীরা যেন সহযোগিতা করেন। সে ক্ষেত্রে শোওয়ার সময় সংক্রান্ত নিয়ম ভেঙেই যাত্রীদের সহযোগিতা করা উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন