কে সি বেণুগোপাল। —ফাইল চিত্র।
বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) সমন সত্ত্বেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এ বার লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ তথা পিএসি-র চেয়ারম্যান কে সি বেণুগোপালের প্রশ্ন, মাধবীর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তার পরেও কেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হলেন? এর ফলে সরকার, সেবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও মোদী সরকার আদানি ঘুষ কাণ্ড নিয়ে সংসদে আলোচনায় রাজি হয়নি। যে ঘটনায় বেশি দামে সৌর বিদ্যুৎ বেচার অভিযোগ উঠেছে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থার বিরুদ্ধে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ার দর বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছিল আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। দাবি ছিল, বারমুডা, মরিশাসে আদানিদের তৈরি দুই তহবিলের টাকা তাদেরই সংস্থার শেয়ারে ঢেলে দাম বাড়ানো হয়েছিল। অভিযোগ, মাধবী ও তাঁর স্বামীর ওই তহবিলে লগ্নি ছিল। অথচ সেবি তদন্তে নেমে তার মালিকানাই খুঁজে বার করতে পারেনি।
বাজেট অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় আজ বেণুগোপাল প্রশ্ন তোলেন, কেন মাধবীর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলেও অর্থ মন্ত্রক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক বা আইনি পদক্ষেপ করেনি? এতে কেন্দ্রের কী স্বার্থ? স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ সত্ত্বেও কোন মাপকাঠিতে বুচকে সেবি প্রধান রাখা হয়েছে? এতে শেয়ারে লগ্নিকারীদের আস্থা ধাক্কা খাওয়ার দায় কি অর্থ মন্ত্রক নিচ্ছে? সেবি-র কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে মন্ত্রক কী পদক্ষেপ করবে? কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘প্রায় ১১ কোটি মানুষ শেয়ারে
লগ্নি করেন। অধিকাংশই মধ্যবিত্ত। তাঁদের স্বার্থ রক্ষা সেবি-র দায়িত্ব।’’
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী বাড়তি বরাদ্দের সায় নিয়ে আলোচনার জবাব দেবেন। সেখানে বুচ-প্রশ্নে উত্তরের জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস। বেণুগোপালের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই
সরকার আদানিদের। সরকার আদানির জন্য, আদানিদের হয়ে কাজ করছে। সেবি যে সংস্থার তদন্ত করেছে, সেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে সম্পত্তি ভাড়া দিয়েই সেবি কর্ণধার ১৬ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ। যা তাঁর আয়ের পাঁচ গুণ।