—প্রতীকী ছবি।
মজবুত হচ্ছে গ্রামীণ চাহিদার ক্ষেত্র। খরচের ক্ষমতা বাড়ছে শহর ও গ্রামের মানুষের। আর এর জেরে চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) জিডিপির ৬.৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। গত বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপির সূচক মাঝামাঝি থাকলেও তৃতীয় ত্রৈমাসিকের পর থেকে তা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে। এমনটাই আশা করছে অর্থ মন্ত্রক। এই হারে জিডিপি বাড়তে থাকলে ভারত দ্রুততম বৃদ্ধির বৃহৎ অর্থনীতির তকমা ধরে রাখতে পারবে বলে আশা আর্থিক বিশেষজ্ঞদের।
নভেম্বরে মাসিক পর্যালোচনার পর তারা জানিয়েছে, গ্রামীণ চাহিদায় স্থিতিশীলতা এসেছে। একই সঙ্গে শহুরে ক্রেতাদের মধ্যে ক্রয় ক্ষমতা আগের থেকে বেড়েছে। অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে দুই ও তিন চাকার গাড়ি বিক্রি এবং দেশীয় ট্র্যাক্টর বিক্রির প্রবণতা দেখে এই ধারণা করেছে অর্থ মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মোট ১৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে, বিমান পরিষেবার পরিসংখ্যান তুলে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মাসে বিমান পরিবহণে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে যা শহরের চাহিদা বৃদ্ধিকে নির্দেশ করছে।
নভেম্বরের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। বাজারে তাজা পণ্যের আমদানির কারণে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ভাল বর্ষার প্রভাবে কৃষির উন্নতি ভারতের জিডিপির ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছিল।
একই আশার বাণী শুনিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারও (আইএমএফ)। অক্টোবরে তারা এক রিপোর্টে জানিয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭ শতাংশ। পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েট ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭%-৭.২%। বিশ্ববাজারে তেলের দাম ফের কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্রে গতি বাড়ছে। আর আমেরিকার নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে তাদের ঋণনীতির সুফলও পাবে ভারত। মূলধনী বাজারে ঢুকবে পুঁজি, আসবে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি ও তৈরি হবে কাজ, এমনটাই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।