—প্রতীকী ছবি।
সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কমবে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার। এ বার সেই আশঙ্কাই করছে দেশের অন্যতম বড় রেটিং সংস্থা ‘ইক্রা’। চলতি আর্থিক বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। এর জন্য অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির খারাপ ব্যবসায়িক ফলাফলকেই দায়ী করেছে ওই রেটিং সংস্থা।
বছরের শেষ প্রাপ্তে এসে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ইক্রা। সেখানে রেটিং সংস্থাটি দাবি করেছে, ২০২৫ আর্থিক বছরে মোট আর্থিক বৃদ্ধির হার সাত শতাংশে গিয়ে পৌঁছবে। যার নেপথ্যে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার কথাই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে দেশের শহর এলাকাগুলিতে চাহিদা কিছুটা কমেছে। এর জেরে কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির সূচক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) অবশ্য এখনও ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে জিডিপির হার ৭.২ শতাংশ থাকবে বলে দাবি করে চলেছে। যদিও অধিকাংশ রেটিং সংস্থা আর্থিক বৃদ্ধির গ্রাফ সাত শতাংশের নীচে থাকবে বলে মনে করছে। গত কয়েক সপ্তাহে আবার কিছু রেটিং সংস্থা এই জিডিপি নিয়ে সংশোধিত তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধির হার সংক্রান্ত তথ্য এ বছরের ৩০ নভেম্বর প্রকাশ করবে কেন্দ্র। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। রেটিং সংস্থা ইক্রা বলেছে, ‘‘এই আর্থিক বছরে সরকারি খরচ অনেকটাই কমেছে। খারিফ শস্যের উৎপাদন মোটের উপর ঠিক আছে। কিন্তু শিল্পক্ষেত্র, বিশেষ করে খনি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি আর্থিক দিক থেকে দুর্দান্ত ফল করেছে এমনটা নয়। যার প্রভাব জিডিপির হারে গিয়ে পড়েছে।’’
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পরিষেবা ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। এটা আর্থিক বছর শেষে জিডিপিকে সাত শতাংশে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। পণ্য রফতানির পরিমাণ ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।