Hindenburg

ইচ্ছা করে ভুল রিপোর্ট বানিয়ে মুনাফা! আতশকাচের নীচে এ বার সেই হিন্ডেনবার্গ

সম্প্রতি অন্টারিও-র আদালতে মানহানির এক মামলায় কাসাম এবং অ্যান্ডারসনের মধ্যে রিপোর্টটি সংক্রান্ত ই-মেল বার্তালাপ তুলে ধরেছে কানাডার এক পোর্টাল।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২২
আতসকাচের তলায় হিন্ডেনবার্গের কার্যকলাপ।

আতসকাচের তলায় হিন্ডেনবার্গের কার্যকলাপ। —প্রতীকী চিত্র।

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল আমেরিকার শর্ট সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। যারা সাধারণত কোনও সংস্থা সম্পর্কে খারাপ রিপোর্ট প্রকাশের আগে তাদের শেয়ার খোলা বাজারে বিক্রি করে রেখে পরে তা কম দামে কেনে। কিন্তু সম্প্রতি আচমকা সেটি বন্ধ করার ঘোষণা করেছেন কর্ণধার নেট অ্যান্ডারসন। তার পরেই কানাডায় আতসকাচের তলায় তাঁর এবং হিন্ডেনবার্গের কার্যকলাপ। অভিযোগ উঠেছে, সে দেশের হেজ ফান্ড সংস্থা (লেনদেনের ঝুঁকি সামলিয়ে শেয়ারের রিটার্ন বৃদ্ধির চেষ্টা করে যারা) অ্যানসন-এর কর্ণধার মোয়েজ় কাসামের সঙ্গে মিলে ২০২০-তে ট্যাক্সি অ্যাপ ফেসড্রাইভ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন অ্যান্ডারসন। সেখানে আগে থেকেই অ্যানসন-এর কাছে এই সংস্থাটি সম্পর্কে খবর ছিল।

Advertisement

সম্প্রতি অন্টারিও-র আদালতে মানহানির এক মামলায় কাসাম এবং অ্যান্ডারসনের মধ্যে রিপোর্টটি সংক্রান্ত ই-মেল বার্তালাপ তুলে ধরেছে কানাডার এক পোর্টাল। দাবি, তাঁদের কথাবার্তায় স্পষ্ট, কাসামের সঙ্গে কাজ করছিলেন অ্যান্ডারসন। তাঁকে শেয়ারের দাম-সহ রিপোর্টে কী থাকবে বলছিলেন কাসাম। সেই অনুসারে তিনি তা ছাপেন।বিশেষজ্ঞদের দাবি, হিন্ডেনবার্গের মতো শর্ট সেলিং সংস্থার সঙ্গে অ্যানসনের মতো হেজ ফান্ড জড়ালে কোনও সংস্থার শেয়ারের দর বিপুল পড়তে পারে। অথচ আমেরিকার বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি-র নিয়ম, কোনও সংস্থা সম্পর্কে খারাপ রিপোর্ট প্রকাশের সময়ে তাতে যে শর্ট সেলিং করা হচ্ছে, সেটাও জানাতে হবে শর্ট সেলিং সংস্থাকে। না হলে শাস্তি হতে পারে। আদানিরাও দাবি করেছিলেন, হিন্ডেনবার্গ আসলে খারাপ রিপোর্ট বার করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমানোর পথে হেঁটে বিপুল মুনাফা করেছে।


Advertisement
আরও পড়ুন