HAL Share Price

‘প্রচণ্ড’র বরাত মিলতেই প্রতাপ দেখানো শুরু! বাজারে বড় পতনের দিনেও বাড়ল সরকারি সংস্থার স্টক

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১৫৬টি হাল্কা যুদ্ধকপ্টার ‘প্রচণ্ড’ তৈরির বরাত পেতেই দৌড়তে শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা হ্যালের শেয়ার। নতুন আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ছ’শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এর স্টকের দর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩৮
Light Combat Helicopters Prachand

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাল্কা যুদ্ধকপ্টার ‘প্রচণ্ড’ (ছবি - সংগৃহীত)

নতুন আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) প্রথম দিনেই লগ্নিকারীদের পকেট ভরাল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ছ’শতাংশ বৃদ্ধি পায় এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থার স্টক। মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে এতে তিন শতাংশের বৃদ্ধি দেখা যায়। হ্যালের জন্য বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটলেও এ দিন ফের নিম্নমুখী হয়েছে বাজার। ফলে তাঁদের উদ্বেগ বাড়ল বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

Advertisement

এ দিন বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, ৪,২২৫.৮০ টাকায় গিয়ে থেমেছে হ্যালের শেয়ার সূচক। স্টকটির দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। সব মিলিয়ে এতে ১.১৬ শতাংশের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ হ্যালের শেয়ারের দাম ওঠে ৪,৪৪৪.৯৫ টাকা। প্রতিরক্ষা সংস্থাটির স্টকের এই রকেট গতির নেপথ্যে কেন্দ্রের একটি সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

মার্চের শেষ সপ্তাহে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’ তৈরির বরাত হ্যালকে দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর জন্য ৬২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যুদ্ধকপ্টারগুলি স্থল এবং বায়ুসেনাকে সরবরাহ করবে হ্যাল। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির শেয়ার কিনতে লগ্নিকারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে এর স্টকের দাম।

গত এক মাসে প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে হ্যালের শেয়ারের দাম। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, গত আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, যার অঙ্ক ৩০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে ৩০ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা আয় করে হ্যাল।

সংস্থার আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) ডি কে সুনীল। তাঁর কথায়, ‘‘এটা ঠিক যে বাহিনীকে পর্যান্ত লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট (এলসিএ) এবং অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) সরবরাহ করা যায়নি। তা সত্ত্বেও শেয়ারের ক্ষেত্রে এতোটা উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে।’’

ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য হালকা যুদ্ধবিমান তেজস সময় মতো সরবরাহ করতে না পাওয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে হ্যাল। তার প্রভাব স্টকের সূচকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ‘প্রচণ্ড’র বরাত মিলতেই রাতারাতি বদলে যায় পরিস্থিতি।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

Advertisement
আরও পড়ুন