জানুয়ারিতে কোনও খাতেই খরচ কমল না। —প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম ৮২৯ টাকাই রয়ে গেল। বদলাল না পেট্রল-ডিজ়েলের দরও। শহরে আইওসি-র পাম্পে পেট্রলের লিটার রইল ১০৫.০১ টাকা, ডিজ়েল ৯১.৮২ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের ব্যারেল ৭১-৭৪ ডলারে ঘোরাফেরা করছে। ফলে চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে রান্না এবং পরিবহণ জ্বালানির দাম ছেঁটে সাধারণ মানুষের খরচ কিছুটা কমানো হবে, এমন প্রত্যাশা বহু দিন ধরে দানা বাঁধছে দেশ জুড়ে। নতুন বছরের গোড়ায় আশাপূরণ হবে কি না, চলছিল সেই জল্পনাও। কিন্তু অন্তত জানুয়ারিতে কোনও খাতেই খরচ কমল না।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এ মাসেও গৃহস্থের হেঁশেলে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) দাম অপরিবর্তিত। বদলায়নি পেট্রল-ডিজ়েল। তবে মাস দুয়েক বাদে সামান্য হলেও মাথা নামিয়েছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের (১৯ কেজি) দর। কলকাতায় তা ১৬ টাকা কমে হয়েছে ১৯১১ টাকা। বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য, তেল-গ্যাসের দাম কমবে বলে প্রতি মাসে আশায় বুক বাঁধেন সাধারণ মানুষ। শেষ বার বাড়িতে রান্নার গ্যাস সস্তা হয়েছিল মার্চে, লোকসভা ভোটের মুখে। দাম কমে ১০০ টাকা। তার পর থেকে তা স্থির। অন্য দিকে, ডিসেম্বরে দেশের কিছু শহরে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম অল্প বাড়ে। তার মধ্যে ছিল কলকাতা (লিটারে ৬ পয়সা)।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, দরকারি পণ্য কিনতে বহু মানুষের আয়ের সিংহভাগ বেরিয়ে যাচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে আয়কে ছাপাচ্ছে খরচ। ফলে জোরালো হচ্ছে তেলের দাম কমানোর দাবি। এমনকি শিল্পমহল বাজেট প্রস্তুতি-বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক ছাঁটার আর্জি জানিয়েছে। বলেছে, এতে জ্বালানির দাম কমবে। ফলে নামবে পরিবহণ খরচ। যা পণ্যের দাম কমাবে। স্বস্তি পাবেন আমজনতা। হাতে থাকা বাড়তি অর্থ দিয়ে তাঁরা কেনাকাটা করলে চাহিদা বাড়বে বাজারেও।