একাংশের প্রশ্ন, আমদানির হিসাবে কি কোথাও গণ্ডগোল হচ্ছে? —ফাইল চিত্র।
গত মাসে দেশে সোনার আমদানি পৌঁছেছে ১৪৮৬ কোটি ডলারে। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। সেই ধাক্কায় নভেম্বরের বাণিজ্য ঘাটতি নজির গড়ে হয়েছে ৩৭৮৪ কোটি ডলার। এই তথ্য বিস্মিত করেছে সংশ্লিষ্ট মহলকে। তাদের একাংশের প্রশ্ন, আমদানির হিসাবে কি কোথাও গণ্ডগোল হচ্ছে? অনেকে মনে করাচ্ছেন, সফ্টওয়্যার সমস্যায় ২০১১ সালের এপ্রিল-নভেম্বরের রফতানি পরিসংখ্যান ভুল প্রকাশিত হয়েছিল। পরে তা সংশোধন করা হয়। এ বারেও তেমন কিছু ঘটে থাকলে তথ্য সংশোধন করতে হতে পারে বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রককে। অন্য একটি অংশের অবশ্য দাবি, এখনকার পদ্ধতি অনেক আধুনিক। তাতেও প্রমাদ ঘটে থাকলে তা যথেষ্ট অস্বস্তির।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দেন। গয়না শিল্পের এক কর্তার কথায়, ‘‘নভেম্বরে সোনা আমদানির পরিসংখ্যান অস্বাভাবিক।’’ বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই-এর মতে, বিশেষ আর্থিক অঞ্চল, রফতানি ভিত্তিক কারখানা বা গিফ্ট সিটির হাতে আসা সোনাকে আমদানির মধ্যে ধরা হয় না। কোনও কারণে এর একাংশ সেই হিসাবে চলে এলে তথ্যে ভ্রান্তি হতে পারে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘‘এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে হবে। পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে।’’
এ দিকে আজ ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারেত্তি বলেন, বৃহৎঅর্থনীতিগুলির মধ্যে এ দেশে আমদানি শুল্ক সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দুই দেশকে মিলে কাজ করতে হবে। আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ফলে এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।