Electricity Bills

চড়া বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগে বহাল চাপানউতোর

সম্প্রতি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার নানা এলাকায় বিদ্যুতের বিল গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি আসার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকার দাবি, গোপনে পরিষেবার খরচ বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৫
An image of Electricity

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যে চুপিসারে বিদ্যুতের মাসুল বাড়ানোয় বহু গ্রাহককে বিপুল অঙ্কের বিল মেটাতে হচ্ছে, এই অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছে সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি (অ্যাবেকা)। একই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি রাজ্যকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার ফের সেই অভিযোগ ওড়ালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর ও বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসুর দাবি, দেশে পশ্চিমবঙ্গেই বিদ্যুৎ পরিষেবার খরচ সবচেয়ে কম।

Advertisement

সম্প্রতি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার নানা এলাকায় বিদ্যুতের বিল গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি আসার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকার দাবি, গোপনে পরিষেবার খরচ বাড়ানো হয়েছে। যে অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন শুভেন্দু। এ দিন অরূপ বলেন, ‘‘সমস্যা হল, কেউ বুঝে বলেন, কেউ না বুঝে। আমি কী বললাম বা আর একজন কি বললেন সেটা সত্য না হলেও, সত্যি কোনটা তা বলবে নথিপত্র বা রেকর্ড। ২০১৬ সালে রাজ্যে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ৭.১২ টাকা। আজ আট বছর পরেও তা-ই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভর্তুকি দিয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করছে।’’

এর পরেই ‘ডবল ইঞ্জিনের সরকারে’র প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রীর তোপ, ‘‘অসমে ২০২২-এ বিদ্যুতের দাম ছিল ৭.৫৫ টাকা। এ বছর হয়েছে ৮.০২ টাকা। মহারাষ্ট্রে ৭.১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮.০৯ টাকা। বিহারে ৭.৪৪ টাকা থেকে ৮.৩০ টাকা, অন্ধ্রপ্রদেশে ৬.৩৭ টাকা থেকে ৭.২৬ টাকা। উত্তরপ্রদেশে দাম ৭.৫৩ টাকা।’’ বণ্টন সংস্থা বিদ্যুৎ সংযোগের স্থায়ী চার্জ এবং তা ব্যবহার না হলেও যে ন্যূনতম চার্জ নেওয়া হয়, তা বাড়িয়েছে। সে কথা মানলেও সচিবের দাবি, স্থায়ী চার্জও সবচেয়ে কম এ রাজ্যে। গৃহস্থের ক্ষেত্রে রাজস্থানে
তা ২৩০ টাকা, মধ্যপ্রদেশে ১২৪
টাকা, মহারাষ্ট্রে ১১৬, কর্নাটকে ১১০, কেরল ও উত্তরপ্রদেশে ৯০ এবং অসমে ৭০ টাকা। উল্লেখ্য, এ রাজ্যে তা ৩০ টাকা। দাবি, বাণিজ্যিক ও কৃষিতেও বাংলায় তা সর্বনিম্ন।

অরূপের আরও বক্তব্য, এই চার্জ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বণ্টন সংস্থা একা নেয় না। নিয়ন্ত্রণ কমিশন, কেন্দ্র-সহ সব পক্ষ যুক্ত থাকে। মাত্রাছাড়া বিলের অভিযোগ নিয়ে বলেন, চড়া গরমে বিদ্যুতের ব্যবহার অনুযায়ী তা চড়তে পারে। তবে মিটারে গোলমালের অভিযোগ এলে পরীক্ষা করে বিল শোধরানো হয়। শান্তনুর দাবি, স্থায়ী চার্জ বাড়লেও ‘এনার্জি চার্জ’ কমিয়ে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের বোঝা না বাড়ানোর ব্যবস্থা হয়েছে।

‘হুকিং’ বন্ধ করতে গিয়ে বণ্টন সংস্থার কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ও শাসকদলের একাংশ তাতে যুক্ত বলেও অভিযোগ উঠছে। এ দিন অরূপের দাবি, কয়েকটি জায়গায় কিছু রাজনৈতিক দলের একাংশ বিদ্যুৎ চুরি করে প্রকৃতপক্ষে সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন
Advertisement