Yes Madam

কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ আছে? ‘হ্যাঁ’ লিখতেই চাকরি গেল শতাধিক কর্মীর! নয়ডার সংস্থার কাণ্ডে হইচই

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার একটি সংস্থায়। 'ইয়েস ম্যাডাম' নামের ওই সংস্থা প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

— প্রতীকী চিত্র।

কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ আছে কি না জানতে চেয়ে সমীক্ষা করছিল সংস্থা। ‘হ্যাঁ’ লিখেছিলেন শতাধিক কর্মী। সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বেছে বেছে সেই সব কর্মীকে ছাঁটাই করল সংস্থা! এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে দেশ জুড়ে। উত্তাপ ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমেও। কর্মক্ষেত্রের নিয়ম এবং নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নেটাগরিকেরা।

Advertisement

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার একটি সংস্থায়। ‘ইয়েস ম্যাডাম’ নামের ওই স্টার্টআপ সংস্থা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রূপটান সংক্রান্ত পরিষেবা দিয়ে থাকে। খবর, সম্প্রতি ওই সংস্থাটি অফিসে কাজের চাপ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। সেই সংক্রান্ত একটি ফর্মও কর্মীদের পাঠিয়েছিল তারা। ফর্ম পূরণের পর ১০০ জনেরও বেশি কর্মী জানিয়েছিলেন যে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। আর তার পরেই বেছে বেছে সেই সব কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে সংস্থার তরফে একটি ইমেলও নাকি পাঠানো হয়েছিল ওই কর্মীদের। সেই ইমেলের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ইমেলে লেখা, “প্রিয় সহকর্মী, সম্প্রতি আমরা কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ নিয়ে আপনার কী ধারণা, তা বোঝার জন্য একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলাম। আপনারা অনেকেই আপনাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন, যা আমাদের কাছে মূল্যবান এবং আমরা তা সম্মান করি। একটি স্বাস্থ্যকর এবং সহায়ক কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি সংস্থা হিসাবে আমরা প্রতিক্রিয়াগুলি যত্ন সহকারে বিবেচনা করেছি।”

ইমেলটি এ-ও লেখা, “কেউ যাতে কর্মক্ষেত্রে চাপে না থাকেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এমন কর্মীদের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাঁরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁরা চাপের মধ্যে রয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং প্রভাবিত কর্মীদের আরও বিশদে পুরো বিষয়টি জানানো হবে। আপনার অবদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।” যদিও ভাইরাল সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে ওই সংস্থা। সমাজমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আবার অনেকে পুরো বিষয়টিকে সংস্থার প্রচার কৌশল বলেও মনে করছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন