প্রতীকী চিত্র
তরুণ থেকে বৃদ্ধ- বয়স যাই হোক না কেন, শরীরের ব্যথায় কষ্ট পান এখন বেশির ভাগই। ফুটবল খেলতে গিয়ে ব্যথা হতে পারে, কোন কারণে পড়ে গিয়ে ব্যথা হতে পারে, যন্ত্রণা হতে পারে কোনও অসুখের জন্যও। এই সব কিছুই ‘মাস্কুলোস্কেলিটাল পেন’-এর মধ্যে পরে।
আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “অস্থিসন্ধির ব্যথা এবং পেশির ব্যথাকে আমরা দু’ভাগে ভাগ করি। পড়ে যাওয়া, আঘাত লাগা এই ব্যথাগুলি ছেড়ে দিলে অসুখের মাধ্যমে যে ব্যথাগুলি হয়, সচরাচর সেগুলি দুই রকমের হয়। ইনফ্ল্যামেটরি পেন এবং নন-ইনফ্ল্যামেটরি পেন।”
কিন্তু কী এই ইনফ্ল্যামেটরি পেন এবং নন-ইনফ্ল্যামেটরি পেন?
অস্থিসন্ধিতে অথবা পেশিতে যদি কোনও ইনফ্ল্যামেশন অর্থাৎ প্রদাহ হয়, তখন তাকে ইনফ্ল্যামেটরি পেন বলে। আবার যদি প্রদাহ না হয়, তা হলেও যন্ত্রণা হতে পারে। তখন সেটা নন-ইনফ্ল্যামেটরি পেন।
চিকিৎসক মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “বাতের ব্যথা একটি অসুখ এবং আমরা সেটি ইনফ্ল্যামেটরি পেনের মধ্যে ধরি। আমাদের কাছে প্রায়ই রোগীরা আসেন চিকিৎসার জন্য। আমরা সেই ব্যথা কী জন্য হয়েছে, তা বিচার করে দেখি। কারণ চিকিৎসা জগতে ইনফ্ল্যামেটরি পেনের এক রকম চিকিৎসা এবং নন-ইনফ্ল্যামেটরি পেনের আর এক রকম চিকিৎসা।”
এই বাতের ব্যথা অথবা আর্থ্রাইটিস আবার অনেক রকমের হয়। সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের যেটা হয়, সেটা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস। আবার ৫০-৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যেটা হয়, তা ডিজ়েনেরেটিভ আর্থ্রাইটিস। প্রথমটিকে আমরা ইনফ্ল্যামেটরি পেনের মধ্যে ধরি এবং দ্বিতীয়টি নন-ইনফ্ল্যামেটরি পেন। দেখা গিয়েছে ইনফ্ল্যামেটরি পেন বিশ্রাম করার সময়ে অথবা ঘুমের মধ্যে হয় এবং সচরাচর নন-ইনফ্ল্যামেটরি পেন কাজ করার সময়ে হয়।”
সাধারণত, ইনফ্ল্যামেটরি পেনের ক্ষেত্রে ব্যথার কারণে রোগীর ঘুম আসে না। আবার সকালে উঠে যখন রোগী কাজ করেন, তখন ব্যথা কমে যায়। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে একদম বিপরীত ঘটনা ঘটে। কাজ করার সময়ে অথবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোমরে কিংবা হাঁটুতে ব্যথা হয়। আবার বিশ্রাম নেওয়ার পরে সেই ব্যথা কমে যায়।
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।