প্রতীকী ছবি।
সারা বছর ডায়েট মেনে চললেও পুজোর কয়েকদিন মিষ্টি না খেলে বাঙালির রসনার তৃপ্তি হয় না। কিন্তু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে আবার মিষ্টি একেবারেই খাওয়া বারণ! কিন্তু উৎসবের পরিবেশে সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনে অনেকেই মিষ্টি খেয়ে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। অথচ বাঙালির সেরা পার্বণে তাঁরা কি মিষ্টিমুখের স্বাদ পেতে পারেন না? অবশ্যই পারেন। তার জন্য বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুগার-ফ্রি সন্দেশ।
খেজুর সন্দেশ
উপকরণ:
পনির: ৩/৪ কাপ
মাওয়া: ৩/৪ কাপ
খেজুর: ১/২ কাপ (কুচনো)
এলাচগুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
গরম জল: ১/৪ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে গরম জলে কুচনো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে খেজুরগুলি মিক্সিতে দিন, সঙ্গে ভেজানো জলটাও দিতে ভুলবেন না। ভাল করে ব্লেন্ড করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর তাতে পনির ও মাওয়া মিশিয়ে আবারও ব্লেন্ড করে নিন। এবার একটি ননস্টিক প্যান গরম করে আঁচ কমিয়ে তাতে এই মিশ্রণটি অনবরত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি জল মরে গিয়ে মণ্ডের আকার নিলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার এতে এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে ভাল করে মেখে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে পছন্দের ছাঁচে হাল্কা ঘি মাখিয়ে সন্দেশের আকার দিন। কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন।
আনারস সন্দেশ
উপকরণ:
পনির: ১ কাপ
মাওয়া: ১/৪ কাপ
আনারস কুচি: ১/২ কাপ
কিশমিশ: ১/৪ কাপ
পাইন্যাপল এসেন্স: ২-৩ ফোঁটা
খাবারের রং: এক চিমটে
পেস্তার গুঁড়ো: সামান্য
প্রণালী:
প্রথমে গরম জলে কিশমিশগুলি মিনিট পনেরো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর মিক্সিতে কিশমিশ ও আনারস কুচি ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার তার সঙ্গে পনির, মাওয়া মিশিয়ে আবারও ব্লেন্ড করে একটা নরম মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ননস্টিক প্যানে আঁচ কমিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে অনবরত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে মণ্ডের আকার ধারণ করলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার এতে পাইন্যাপল এসেন্স ভাল করে মাখিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে হলুদ রঙের খাবারের রং মিশিয়ে একবার পুরো মিশ্রণটিকে ভাল করে চটকে নরম করে নিন। এবার পছন্দের ছাঁচে একটু ঘি মাখিয়ে তাতে মিশ্রণটি দিয়ে সন্দেশের আকার দিন। হয়ে গেলে উপরে পেস্তার গুঁড়ো ছড়িয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।