জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর বুটিক ‘প্রথা’ গত ৬ বছর ধরেই বাঙালির সাজে ফিরিয়ে আনছে সনাতনী স্বাদ।
রাঁধেন, চুল বাঁধেন তো বটেই। তিনি গান গাওয়ার সঙ্গেই বুটিকও চালান।
তিনি লোপামুদ্রা মিত্র। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর বুটিক ‘প্রথা’ গত ৬ বছর ধরেই বাঙালির সাজে ফিরিয়ে আনছে সনাতনী স্বাদ। এ বছর পুজোতেও ‘প্রথা’ নিয়ে এল তাদের নতুন সম্ভার।
কী ভাবনা রয়েছে এ বারের পুজোর শাড়িতে?
আনন্দবাজার অনলাইনকে লোপামুদ্রা বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করি শাড়ির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে। প্রথাগত ঢঙেই শাড়ি হয় আমাদের, সে কারণেই বুটিকের এমন নাম। এ বারের পুজোর সম্ভারেও আছে সেই ছোঁয়াই।’’ শিল্পীর কথায়, ‘প্রথা’ আসলে এই আধুনিকতার যুগেও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার এক প্রচেষ্টা।
সাদা, গোলাপি বা লালরঙা তসরের উপরে কাঁথার কাজ করা বেশ কিছু শাড়ি রয়েছে পুজোর সম্ভারে। আছে কর্নাটকের ইর্কল শাড়ি। উত্তর কর্নাটকের ইর্কল অঞ্চলের নামেই নামকরণ এই সিল্কের শাড়ির। বাংলার মটকা জামদানিও আছে পসরায়। মসলিনের নিপুণ কাজ তার আঁচলে। আর আছে মটকা তসর। বীরভূমের কাঁথাকাজ থেকে নদিয়ার মটকা জামদানি- নজরকাড়া শাড়িতে ধরা বাঙালিয়ানার চিরন্তনী ঘরানা। লোপামুদ্রা বলছেন, তুমুল চাহিদায় এ বছর নিমেষে শেষ হয়ে গিয়েছে লাম্বানি শাড়ি। উত্তর কর্নাটকের আদিবাসীদের হাতে তৈরি এই শাড়িতে সূক্ষ্ম সুতোর কাজে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের বুনোট।
শাড়ি না হয় হল, আর পুজো? তার জন্য এ বছর কী পরিকল্পনা শিল্পীর?
অতিমারির কবলে এ বার অনুষ্ঠানের ব্যস্ততা নেই। লোপামুদ্রা তাই খানিক মনমরা। ‘‘পুজোর সময়ে গান গাইতে আমি খুব ভালবাসি,’’ অকপট স্বীকারোক্তি গায়িকার। কিন্তু গত বছরের মতো এ বারও তো মঞ্চ থেকে দূরেই থাকতে হবে। উৎসব কেটে যাবে বিভিন্ন পুজোর বিচারকের ভূমিকায় আর কাছের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাতেই।