শাড়ি মানেই নারী — এই চিরাচরিত ধারণাকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়মিত সেজে চলেছেন পুষ্পক সেন।
মিলানের রাজপথ থেকে কলকাতার অলি-গলি, তাঁর ছক ভাঙা সাজে ইতিমধ্যেই বাকরুদ্ধ নেটদুনিয়া। যে সাজের কাহিনি ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে।
তবে এ বারে সেই ছবির প্রেক্ষাপট কলকাতার রাস্তা। যে রাস্তায় বড় হয়ে উঠেছেন পুষ্পক নিজে।
গতে বাঁধা ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে, পুজোর ঠিক আগে চিত্রগ্রাহক প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় লেন্সবন্দি করেছেন পুষ্পকের শাড়ি-কাহিনি।
কপালে বড় লাল টিপ, পরনে শাড়ি, সঙ্গে আবার একগাল দাড়ি, — এমনই এক সাজে ফের নেটদুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পুষ্পক।
এই ছবির সিরিজেও তার সঙ্গী ছিল একটি সাদা ছাতা। পুষ্পককে যাঁরা চেনেন, তাঁরা নিমেষে বলে দিতে পারেন, এই ছাতা আসলে পুষ্পকের ট্রেডমার্ক।
কোবাল্ট নীল রঙের শাড়িতেও একই ভাবে সেজে উঠেছেন এই সাহসী পুরুষ।
প্রকাশ পাওয়ার পরেই সম্প্রতি নেটমাধ্যমে এই ছবিগুলি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এমন ঘটনা যে নতুন, তা নয়। প্রথা ভাঙার লড়াইয়ে নেমে প্রথম দিন থেকেই অবশ্য কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলেন পুষ্পক। যদিও সে সব ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
পুষ্পক তৈরি করেছেন নতুন সাজের ট্রেন্ড। প্রাথমিক পর্যায়ে রসিকতা চললেও পরে সেই মানসিকতা বদলে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ।
অনেকেই মনে করছেন, পুজোর আগে প্রবাল ও পুষ্পকের এই ফোটোশ্যুট বদলে দিতে পারে ফ্যাশনের সংজ্ঞা।
যে সংজ্ঞায় নারী বা পুরুষের জন্য আলাদা করে কোনও বিবরণ থাকবে না। লিঙ্গ নির্বিশেষে ফ্যাশন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। আর সাধারণ মানুষ ‘তাহাই সাদরে গ্রহণ করিবে’।
মডেল: পুষ্পক সেন, রূপটান: অনির্বাণ মণ্ডল, কেশসজ্জা: সন্দীপ্তা দাস, চিত্রগ্রাহক: প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পোশাক: ইন্দু বাই জয়িতা, গয়না: আর্থামেন্টস, ভাবনা ও পরিকল্পনা: মোনালিসা মান্না