অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি পিক্সি কাট করালেন জলি চন্দর কাছে।
সারা বছর কাটে কর্মব্যস্ততায়, দ্রুত গতিতে। নিজের সাজগোজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় কোথায় আর? পুজোতেই মেলে সেই চির-আকাঙ্ক্ষিত ফুরসত। পোশাক, রূপসজ্জার পাশাপাশি নিজেকে নিয়ে পরীক্ষার আর একটি বড় জায়গা নিঃসন্দেহে চুল। প্রতিবার পুজোর আগে তাই পার্লার বা সাঁলোতে রীতিমতো ভিড় থাকে। কিন্তু গত বছর থেকে ছবিটা খানিক অন্য রকম। অজানা জীবাণুর আতঙ্ক বদলে দিয়েছে অনেক কিছুই। বদলে গিয়েছে চুলের সাজও। তেমনই বললেন কেশসজ্জা শিল্পী জলি চন্দ।
আনন্দবাজার অনলাইন থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এই বারের পুজোয় চুলের নতুন সাজের বিষয়ে। তাঁর কথায় অতিমারির পরিস্থিতি অন্য সব কিছুর মতোই প্রভাব ফেলেছে চুলের সাজেও। একেই করোনা-আতঙ্কে চুলের ঝক্কি বেড়ে গিয়েছে অনেক। নিত্য যাতায়াতের সঙ্গী এখন হেয়ার-ক্যাপ। বাড়ি ফিরেও ভাল করে ধুতে হচ্ছে চুল। তার উপর, এখন বাড়ি থেকে কাজের জমানায় অনেকটা সময় কাটাতে হচ্ছে স্ক্রিনের সামনে। সেখানে ক্যামেরা অন থাকলে সব সময় খোঁপা করে রাখা সম্ভব নয়। এই সব কারণেই মূলত নতুন ট্রেন্ড এখন ছোট চুল।
ছোট চুলের মধ্যে কী কী ধরনের চুলের কাট এখন বেশি? জলি চন্দ বলছেন, ‘‘এখন মূলত চলছে বব আর পিক্সি কাট। বিশেষ করে বিভিন্ন ধাঁচের বব-কাট, যেমন ফ্ল্যাট বব, পিক্সি বব, লেয়ার্ড বব এই বছর বেশ জনপ্রিয়।’’ দু’ দিকে চুলের দৈর্ঘ্যও অনেকে অন্য রকম রাখতে চাইছেন, তাই বিসম হেয়ার-কাটের দিকে ঝোঁক বাড়ছে।
পুরুষদের মধ্যে ফেড আউট ও মোহক বেশ জনপ্রিয়, জানাচ্ছেন জলি চন্দ। অনেকে আবার ধোনির সাম্প্রতিকতম কেশসজ্জাও অনুকরণ করতে চাইছেন। পুরোনো কিছু চল, যেমন বিগত শতাব্দীর কুড়ির দশকে মাথার উপরের দিকে বড় চুল রাখার ট্রেন্ড আবার ফিরে আসছে। তবে কে কেমন চুলের সাজ রাখবেন তা সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির ইচ্ছার থেকেও বেশি নির্ভর করে তার পেশার ওপর।