তাঁদের ইনস্টাগ্রাম জুড়ে শুধু একে অপরের সঙ্গে ছবি। কখনও তাঁরা পাহাড়ে হারিয়ে যান, কখনও চার দেওয়ালের মধ্যেই ভালবাসার মুহূর্তকে লেন্সবন্দি করে রাখেন।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের জন্য একসঙ্গে ছবি তুললেন সোহিনী-রণজয়। বৃষ্টির দিনে কাছাকাছি এলেন তাঁরা। ক্যামেরায় ধরা পড়ল তাঁদের রসায়ন।
ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকেই চলছিল খুনসুটি। রণজয়ের সাজতে বেশি সময় লাগে বলে তাঁকে 'কার্তিক ঠাকুর' বলে রাগালেন সোহিনী। কখনও আবার রণজয় প্রেমিকাকে কাছে টেনে দেখে নিচ্ছেন তাঁর সাজ।
কিছু দিন আগেই শোনা গিয়েছিল, সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন সোহিনী এবং রণজয়। কিন্তু সেই গুঞ্জনকে সম্পূর্ণ নাকচ করেছিলেন তিনি। ছবি তোলার ফাঁকেই সোহিনী বললেন, “রণজয় তো বিয়ে করবে না।”
খুনসুটির উত্তর দিতে ছাড়েননি রণজয়। খানিক হেসে তিনি বললেন, “আরে দুম করে বিয়ে করব।”
একসঙ্গে থাকেন তাঁরা। একে অপরের ছায়াসঙ্গী বলাই যায়। কিন্তু কয়েক মাস আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে সোহিনী বলেছিলেন, ““করোনা আবহে বিয়ে করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে কোনও এক দিন সময় করতে পারি।”
তিন ধরনের পোশাকে সেজেছেন সোহিনী-রণজয়। লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে সোহিনী যখন নিজেকে সাজিয়েছেন, রণজয় তখন পরেছেন লাল রঙা পাঞ্জাবি।
তাঁদের প্রেমের মতোই মেজাজ বদলায় পোশাক। লাল-সাদা ছেড়ে গায়ে ওঠে কালো। হাতা-কাটা কুর্তিতে রণজয়কে জড়ালেন তিনি। সোহিনীর প্রেমিকও কালো পাঞ্জাবিতে সেজেছেন তখন।
সাদা-লাল এবং কালোর পর আরও একটু বর্ণিল তাঁরা। বেগনি রঙের কুর্তিতে সোহিনী উজ্জ্বল। নীল পাঞ্জাবিতে তাঁর পাশেই রণজয়।
দু’বছর ধরে একত্রবাস তাঁদের। পর্দাতেও একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তবুও নতুন সাজে রঙিন হয়ে উঠেছে তাঁদের প্রেম। মৃদু হেসে সোহিনীকে রণজয় বললেন, “একটু কাছে আয়, আমাকে ভাল করে দেখ।’’