ফেলে আসা ভাইফোঁটা ফিরে দেখলেন সৌরসেনী।
ভাইফোঁটা! সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি এই দিনটার জন্য। ভাইদের ফোঁটা দেওয়া, উপহার নিয়ে খুনসুটি, ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া, জমাটি আড্ডা, হইহুল্লোড়! এ বার সেই ভাইফোঁটাতেই কলকাতায় থাকা হল না! কাজের জন্য তড়িঘড়ি ছুটে আসতে হল মুম্বইয়ে। অগত্যা সক্কাল সক্কাল ফেলে আসা দিনগুলো ফিরে দেখা আর আগাম পরিকল্পনা ছাড়া উপায় কী!
প্রত্যেক বছর এই দিনটা কাটে তুতো ভাইদের সঙ্গে। কয়েক জন বন্ধুও আসে ফোঁটা নিতে। ২০১৮ সালের পর থেকে ভাইদের এই দীর্ঘ তালিকায় আরও একটা নাম জুড়ে গিয়েছে। ঋত (ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়)। ‘জেনারেশন আমি’-তে আমরা ছিলাম অপু-দুগ্গার ভূমিকায়। পর্দার ভাই-বোন সাজতে সাজতে কখন যেন বাস্তবেও ভাই-বোন হয়ে গিয়েছি। ওর সঙ্গেই আমার যত রাগ-জেদ-হাসিঠাট্টা। প্রত্যেক বছর ভাইফোঁটায় উপহার দেওয়া-নেওয়া নিয়ে আমাদের ঝগড়া চলে। গত বছর ফোঁটায় আমিই ওকে উপহার দিয়েছিলাম। ও আমাকে কিচ্ছু দেয়নি। আমি যখন চাইলাম, বলে কি না, ‘আমিই তো গিফট’! খুব শিক্ষা হয়েছে। এ বার যতক্ষণ না ভাইদের থেকে কিছু পাচ্ছি, ওদেরও কিচ্ছু দেব না!
মুম্বইয়ে একলা ঘরে এই খুনসুটিগুলোই যেন ছবির মতো ভাসছে। কলকাতায় ফিরেই তাই ওদের বাড়িতে ডাকব। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হবে! তবে রান্নাবান্নায় আমি নেই। কারণ, ওই কাজটা আমি একেবারেই পারি না। অনলাইন অর্ডার জিন্দাবাদ!
কয়েক মাস আগেই ‘একান্নবর্তী’-র শ্যুট শেষ করেছি। ‘জেনারেশন আমি’ করতে গিয়ে যেমন একটা ভাই পেয়েছিলাম, এই ছবিতে পেলাম বোন। এই ছবিতে আমি ভুতুর (অনন্যা সেন) দিদির ভূমিকায় অভিনয় করেছি। ওই কয়েক দিনের ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’-এর হাঁকডাকের মাঝেই যেন আমরা কেমন কাছের হয়ে গেলাম। এখন মনে হয় ভাইফোঁটা হলে বোনফোঁটা হবে না কেন? এ বার ভুতুর সঙ্গেই আমার বাকি বান্ধবীদেরও ডাকব। ভাই-বোনরা মিলে হইহই করব জমিয়ে!