পুজো মানে আমার কাছে টুকরো টুকরো অনেকগুলো ছবি।
পুজো মানে আমার কাছে ঠিক কী?
প্রত্যেক বছরই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু উত্তর দিতে গেলেই মনে হয় কথা হারিয়ে ফেলি। আবেগকে কি শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায়? জানি না। বুঝে উঠতে পারি না। আসলে পুজো মানে আমার কাছে টুকরো টুকরো অনেকগুলো ছবি। সেই ছবিতে আমার পরিবার আছে, বন্ধুরা আছে, কাছের মানুষরাও আছে। গত বছর থেকে পুজোর ছবিটা অনেকটাই বদলেছে। করোনার ভয় উৎসবের রং খানিক হলেও ফিকে করে দিয়েছে। কিন্তু এই বছরটা একটু অন্য রকম হবে। দীর্ঘ অসুস্থতার পর এখন আমি সুস্থ। কাজ করছি। ব্যস্ততার মধ্যেই চারটে দিন কাটবে। তার মধ্যেই নিজের মতো করে আনন্দ করব।
পঞ্চমীর দিন ‘এফআইআর’ মুক্তি পাবে। আপাতত ছবির প্রচার করতে গিয়ে দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। পুরো পুজো জুড়েও নানা জায়গায় যেতে হবে প্রচারের জন্য। গত বছর পুজোর সময় যখন নতুন করে ‘ব্রহ্মা জানে…’ মুক্তি পেয়েছিল, তখন কিছুই করতে পারিনি। এ বার সুদে আসলে পুষিয়ে নেব। সাবধানতা অবলম্বন করেই পুজোর চারটে দিন আনন্দে মেতে উঠব। ঘুরব আর অনেক অনেক খাব। চেহারা ঠিক রাখার জন্য সারা বছর কড়া ডায়েটে থাকি। ইচ্ছে করলেও অনেক কিছু খেতে পারি না! সারা বছর শুধু এই চারটে দিন কোনও বারণ শুনি না। যা যা ইচ্ছে করে, সব খেয়ে নিই। প্রত্যেক বছর মাঝরাতে দেশপ্রিয় পার্কের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাউমিন খাই। উপরে আলাদা করে শসা কুচিয়ে দিতে বলি। আহা! ওই চাউমিন ছাড়া পুজোর কথা ভাবতেই পারি না।
এ বছরের পুজো নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা। বাচ্চাদের যে স্কুলটির সঙ্গে আমি যুক্ত, সেখানে যাব। তবে এ বার আমি একা নই। আমার সঙ্গে আমার ভালবাসার মানুষটিও থাকবে। আমরা একসঙ্গে ওদের জন্য জামাকাপড় কিনেছি। এত দিন বন্ধু রাহুলকে নিয়ে এই কাজগুলো করতাম। এ বার নতুন সঙ্গী পেলাম। উৎসবের ক’টা দিন ও আমাকে কাছছাড়া করতে চাইছে না। বলছে ছবির প্রচারেও আমার সঙ্গেই থাকবে। আমাকে সাহায্য করবে। কাজের মধ্যে থাকলেও একসঙ্গে থাকতে তো পারব। এই বা কম কী!
মা আসছেন। সব রোগ, ব্যধি, জরা এ বার কেটে যাবে। আমরা আবার হাসব। নতুন করে বাঁচব। এই পুজো আমার কাছে আশার পুজো। বাঁচার পুজো।